চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের শহীদ বাচ্চু মিয়া সড়কে (জীবননগর-দত্তনগর) পশুহাটের সামনে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। সড়কের পাশে ময়লা ফেলায় দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের মানুষসহ পথচারী। দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে হচ্ছে তাঁদের।
জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে জীবননগর পৌরসভা ঘোষিত হয়। সেই থেকে জীবননগর পৌর পশুহাটের সামনে রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে পৌরসভা। জীবননগর-দত্তনগর সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক ব্যবহার করে ব্যবসার কাজে ও চিকিৎসা নিতে জীবননগর শহরে আসেন মহেশপুর উপজেলার অসংখ্য মানুষ। ভাগাড়ের সামনে রয়েছে নাসিম ফিলিং স্টেশন ও কয়েকটি দোকান। দক্ষিণ পাশে রয়েছে জীবননগর আলিম মাদ্রাসার ছাত্রাবাস ও ছোট্ট একটি বাজার। শহরের নানা বয়সী মানুষ সকালে এ সড়কে হাঁটাহাঁটি করে।
সকালে হাঁটাহাঁটি করা আক্তারুজামান বলেন, ‘ভোরে এ সড়কে গাড়ি কম থাকে বলে হাঁটাহাঁটি করি। ময়লার ভাগাড়ের কারণে অনেক কষ্ট হয়। ময়লার ভাগাড়টা রাস্তার পাশ থেকে সরানো উচিত। কেউ আমাদের কথা শোনেন না।’
জীবননগর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘ভাগাড়ের পাশে আলিম মাদ্রাসার ছাত্রাবাস। ছাত্ররা অনেক কষ্টে করে ছাত্রাবাসে থাকে। অনেকে দুর্গন্ধ সহ্য করতে না পেরে ছাত্রাবাস ছেড়ে চলে যায়।’
জীবননগর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, ভাগাড়ের জন্য জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। তেঁতুলিয়া মাঠে জমি দেখা হচ্ছে। জমি কেনা হলেই ভাগাড় সরিয়ে নেওয়া হবে।