পুকুরে কার্পজাতীয় মাছের সঙ্গে পাবদা ও গুলশার মতো মাছ চাষ করা যায়। এতে উৎপাদনও বাড়ে। তবে এ ধরনের মিশ্রজাতীয় মাছ চাষে সফল হতে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। এসবই ব্রাহ্মণপাড়ার মৎস্য চাষিদের শেখানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় এসব শেখানো হয়।
২০২১-২২ অর্থবছরে মিশ্র মাছ চাষে প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ কর্মসূচির আওতায় মৎস্য অধিদপ্তর ইউনিয়ন পর্যায়ে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করছে। এতে মিশ্র কার্পের সঙ্গে গুলশা-পাবদা-টেংড়া চাষের ওপর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৮ জন মৎস্য চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণ দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শরিফ উদ্দিন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয় বনিক, ইউনিয়ন প্রকল্প ক্ষেত্র সহকারী মো. ইসমাইল হোসেন ও এনএটিপি ক্ষেত্র সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয় বনিক বলেন, ‘পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যেই কয়েক ধরনের রুইজাতীয় মাছের পাশাপাশি পাবদা ও গুলশা মাছ বাজারজাত করা যায়। মৌসুমি পুকুর, বার্ষিক পুকুর ও অন্যান্য জলাশয়ে এ মাছ চাষ করা যায়।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘কার্পের সঙ্গে গুলশা, গলদা, পাবদার মিশ্র চাষ পদ্ধতি আমাদের দেশের অনেক মাছ চাষিই জানেন না। মৎস্য চাষিদের এ ধরনের মাছ চাষে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে।’