হোম > ছাপা সংস্করণ

রাত জেগে পেঁয়াজখেত পাহারা

শাহীন আক্তার পলাশ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) 

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উত্তোলনের আগেই খেত থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে পেঁয়াজ। এ নিয়ে মহাচিন্তায় কৃষকেরা। তাই চুরি ঠেকাতে রাত জেগে খেত পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা। খেতে তাঁবু টানিয়ে সারা রাত পালাক্রমে এভাবে চলছে পাহারা।

উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে শাহিন নামে এক কৃষকের পেঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে গ্রামটিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়, রাত জেগে খেত পাহারা দেওয়ার। ওই গ্রামের বাসিন্দা রিয়াজুল জানান, তাঁর ৫ বিঘা পেঁয়াজ রয়েছে, যা ঠেকাতে রাত জেগে দিচ্ছেন পাহারা। প্রতিকূল আবহাওয়া থাকায় পেঁয়াজের ফলন কম হওয়া ও অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় এমনিতেই মাথায় হাত, তার ওপর চোর চক্রের হানা। এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। পেঁয়াজের দাম ভালো না হলে সর্বস্ব খোয়াতে হবে। তাই শেষ সম্বলটুকু রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। এমন পাহারার কথা জানান জিকরুল, রাজিব, লিটন, আরাফাত, জনি, রনি, রাজুসহ অনেকেই।

খেত পাহারার খবর পেয়ে মনোহরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, রাত ১০টার দিকে মাঠের ঠিক মাঝখানে আলো জ্বলছে। এগিয়ে যেতেই বোঝা গেল এটা তাঁবু। ভেতরে ১৫-২০ জন কাঁথা-কম্বল গায়ে দিয়ে বসে আছেন। ঘুম তাড়াতে কারও হাতে শুকনা খাবার, কেউ কেউ খাচ্ছেন মুড়ি। এভাবে মাঠে তাঁবু টানানো প্রসঙ্গে হুমায়ুন মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আর ১০-১৫ দিনের মধ্যেই পেঁয়াজ ওঠানো যাবে, কিন্তু চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়ে দলবদ্ধভাবে রাত জেগে পেঁয়াজখেত পাহারা দিতে হচ্ছে।’

এদিকে, মনোহরপুর ও নিত্যানন্দপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে পুলিশের পক্ষে করা হয়েছে মাইকিং। কোনো ধরনের চুরি, জোরপূর্বক পেঁয়াজ তুলে নেওয়া, সামাজিক বিরোধে পেঁয়াজ লুটপাট ঠেকাতে এমন ভূমিকা নেওয়া হয়েছে।

নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে বিট পুলিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক রেজাউল ইসলাম জানান, পেঁয়াজখেতের মালিক নিজেও খেতের ফসল তুলতে পারবে না, এ ক্ষেত্রেও প্রশাসনের অনুমতি লাগবে। কৃষকেরা স্বস্তিতে নিজেদের ফসল ঘরে তুলতে পারে, সে কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান রেজাউল।

শৈলকুপার বিভিন্ন এলাকায় চোরের উৎপাত নিয়ে অবশ্য কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে করণীয় কি বা এখনো কোনো সুরাহা দেওয়া হয়নি কৃষকদের। মাঠে দেখা যায়নি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদেরও। তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আকরাম হোসেন জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। কিছু এলাকা থেকে এমন চুরির খবর পাচ্ছেন কৃষকদের কাছ থেকে। বিষয়টি বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, জেলায় সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ হয় শৈলকুপা উপজেলায়। এখানকার পেঁয়াজ যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। শৈলকুপায় গত বছর পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৮০৯ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয় ১ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ। এ বছর পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৯৬৬ হেক্টর জমি। তবে আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৪০৫ হেক্টর জমিতে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ