কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পৃথক দুটি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিয়েছেন নির্বাচনী কাজে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা সেই শিক্ষক-প্রার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়।
তৃতীয় দফার ইউপি নির্বাচনে কেদার ইউপির চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কচাকাটা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান। গত ১৩ নভেম্বর তিনি নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিষ্ণুপুর নয়আনা গ্রামে বাড়িতে ডেকে মোটরসাইকেল প্রতীকে তাদের মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজনের ভোট চান। তা ছাড়া শিক্ষার্থীরা ব্যানার হাতে মিছিল নিয়ে শিক্ষক ফজলুরের বাড়িতে যান।
ওই ঘটনার পরদিন রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম বিষয়টি অবগত হয়ে শিক্ষক-প্রার্থী ফজলুরের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেদার ও কচাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দুটি পৃথক চিঠি দেন। ওই দিনই তাঁরা ফজলুরকে নোটিশ দেন।
নোটিশের জবাবে ফজলুর উল্লেখ করেন, তিনি কোনো শিক্ষার্থীকে তাঁর বাড়িতে ডাকেননি। এসএসসি পরীক্ষার আগের দিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তারা তাঁর বাসায় গিয়েছিল। ওই সময় তাদের হাতে কোনো ব্যানার ফেস্টুন ছিল না। যেহেতু শিক্ষার্থীরা তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল, তাই তাদের জন্য হালকা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এতে নির্বাচন বিধিমালা ভঙ্গ হলে তাঁর অগোচরেই হয়েছে। এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।
জবাবপ্রাপ্তির বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন জানান, নোটিশের জবাব দিয়েছেন ওই শিক্ষক-প্রার্থী। সেটি প্রাপ্তির পর বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘জবাব প্রাপ্তির পর বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রার্থী ও প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।