তিতাস উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাতাকান্দি বাজারে নবনির্মিত গণশৌচাগারটি এক বছরেও উন্মুক্ত করা হয়নি। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগীদের দাবি নবনির্মিত গণশৌচাগারটি যাতে দ্রুত খুলে দেওয়া হয়। এতে হাজারো মানুষ উপকৃত হবে।
ব্যবসায়ী মমিন মিয়া বলেন টয়লেটটি খুলে দিলে বাজারের দোকানিসহ অনেক লোকের উপকার হবে।
স্যানিটারি ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন বলেন টয়লেটটি খুলে না দেওয়ায় বাজারের পরিবেশ দিনদিন নষ্ট হচ্ছে।
সামাদ মোল্লা (৪৫) নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমার স্ত্রীকে নিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছিলাম। পরে একজনকে বলে কাছের একটি বাড়িতে নিয়ে যেতে হয়েছে।’ বাজারের টয়লেটটি দ্রুত খুলে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবুল হাশিম বলেন, ‘আমরা যথাসময়ে শৌচাগারটি নির্মাণ করে বাজার কমিটিকে বুঝিয়ে দিয়েছি। তবে এটি উন্মুক্ত করতে হলে ইজারার মাধ্যমে করতে হবে। আশা করি চলতি বছরে বাজার ইজারার সময় গণশৌচাগারটিও ইজারা হবে।’
সাতানী ইউপির চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী শামসুল হক বলেন, শৌচাগারটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে একজন ইজারাদার নিয়োগ দিতে হবে। আশা করছি খুব দ্রুতই ইজারাদার নিয়োগ দিয়ে এটি খুলে দেওয়া যাবে।
ইউএনও এটিএম মোর্শেদের মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।