স্বাধীনতার ৫০ বছর পর পেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। তবে জীবদ্দশায় সেই আনন্দের খবর আর শোনা হলো না তাঁর। শত প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা আর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে যেন আরেকটি যুদ্ধ জয়ের স্বাদ পেল এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি।
এটি সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের ভাতকুড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেলিম খান ও তাঁর পরিবারের ইতিকথা। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাঁর পরিবার ও সহযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেলিম খানের ছেলে মো. আরাফাত খান বলেন, গত বছরের ৩০ জুন বাবা ব্রেন স্ট্রোক করে মারা যান। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে বাবা খুবই চিন্তিত থাকতেন। গত ২৭ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বেসামরিক গেজেটে নতুন মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার গেজেট নম্বর ৭১৫৪। এই স্বীকৃতি বাবার মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর নতুন করে সুদীর্ঘ ৫০ বছরের সংগ্রামের স্বীকৃতি। কিন্তু আনন্দের এই সংবাদটি বাবা বেঁচে থাকতে জানতে পারলেন না।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার খন্দকার জহিরুল হক ডিপটি বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে একটি মহৎ উদ্যোগ। তবে এই প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ হওয়া উচিত। এখনো অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন যারা স্বীকৃতি পাননি। এটা খুবই দুঃখজনক।