ডামুড্যা উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে ডাক্তারেরা শিশুদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াচ্ছে। উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ৩০ অক্টোবর থেকে সপ্তাহব্যাপী এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডামুড্যা উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চালু রয়েছে ‘খুদে ডাক্তার’ কার্যক্রম। এই খুদে ডাক্তারদের সহযোগিতা গত ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে কৃমিনাশক ওষুধ সেবন কার্যক্রম। সপ্তাহব্যাপী এই কার্যক্রমে ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী প্রত্যেক শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। তাই শিক্ষকদের সহযোগিতার জন্য উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ের খুদে ডাক্তারের দল নিরলসভাবে কাজ করছে।
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, খুদে ডাক্তারেরা কেউ নাম তালিকাভুক্ত করছে, কেউ আবার ওষুধ খাওয়াচ্ছে।
ডামুড্যা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা কানিজ বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুকে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধ করা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করে কৃমিমুক্ত জীবন গঠন করা। এ বিষয়ে আমারদের বিদ্যালয়ের খুদে ডাক্তারেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া এই খুদে ডাক্তারের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুরা ভবিষ্যতে বড় হয়ে ডাক্তার হবে এবং মানুষের সেবা দিতে উৎসাহী হবে।’
ডামুড্যা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন বলেন, ‘খুদে ডাক্তারদের কিছু স্বাস্থ্য শিক্ষা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়। এরপর তারা তাদের সহপাঠী ও ছোটদের সঙ্গে সেসব বিষয়ে আলোচনা করে। আমার উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে ডাক্তারের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াচ্ছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে কৃমিমুক্ত করা খুদে ডাক্তারদের অন্যতম কাজ।’