মাদারীপুরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ঝাউদিগিরি’। সদর উপজেলার ঝাউদি এলাকায় এর অবস্থান। ঝাউদিগিরি প্রায় ৬০ ফুট উঁচু একটি স্তম্ভ। এটি কে বা কারা নির্মাণ করেছিলেন, তার সঠিক ইতিহাস জানা নেই। তবে স্তম্ভটি নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। অনেকেই মনে করেন, এটি ৩০০ বছরের পুরোনো। তবে চুন ও সুরকি খসে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি। স্থানীয় সচেতন বাসিন্দারা বলছেন, এটি সংরক্ষণে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে, নাহলে এটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
জেলা শহর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে ঝাউদিগিরির অবস্থান। অনেকের ধারণা, ১৭২০ থেকে ১৭২৪ সালের মধ্যে এটি নির্মিত হয়েছিল। কারও কারও মতে নবাব আলিবর্দী খাঁর নির্দেশে এটি নির্মাণ করা হয়। আবার জনশ্রুতি রয়েছে, সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এই অঞ্চলে মগদের আগমন ঘটে। এই অঞ্চলে বসতি গড়ে তোলার পর বহিঃশত্রুদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা ও নজরদারি করার জন্য ‘ওয়াচ টাওয়ার’ হিসেবে স্তম্ভটি নির্মাণ করেছিল তারা।
তবে স্থানীয় একাধিক প্রবীণ ব্যক্তির কাছ থেকে জানা গেছে, এলাকার জমি-জমার সীমানা নির্ধারণের জন্য তৎকালীন সময়ে এ গিরিটি নির্মাণ করা হয়।
গিরিটির উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুট, দৈর্ঘ্য ২০ ফুট ও প্রস্থ ৪ ফুট। এটি চুন, সুরকি ও পাতলা ইট দিয়ে তৈরি। ভেতরের অংশ সম্পূর্ণ ফাঁকা। পূর্ব ও পশ্চিমে দুটি প্রবেশদ্বার রয়েছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাইনউদ্দিন জানান, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ঝাউদিগিরি সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেবেন।