কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের হিজলীয়া গ্রামের একটি সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ এখনো কাঁচা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন এই পথে চলাচল করা পথচারীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত সড়কের এই কাঁচা অংশটি পাকা করা হোক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হিজলীয়া কাঁচা অংশটি গ্রামের প্রধান সড়কের। প্রায় এক কিলোমিটার এই অংশটি হিজলীয়া দেভদেভাঙা সেতু থেকে পৌরসভার সীমানা ঘেঁষে আবদুল সালামের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক। এর পশ্চিমে মির্জাপুর পর্যন্ত সড়ক পাকা। আর সেই পাকা রাস্তায় উঠতে জরাজীর্ণ এই মাটির রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয়। পূর্ব দিকে পাকুন্দিয়া পৌরসভা। এ দিকেও রয়েছে পৌরসভার পাকা রাস্তা। সেই রাস্তায় উঠতেও এ কাঁচা সড়ক দিয়ে যেতে হয়। হিজলীয়া, গাংধোয়ারচর, ঝাউগারচর, চরচাড়ালবন্দ, কুর্শা গ্রামের অনেক লোকজন এই পথ দিয়ে চলাচল করে থাকেন। বিশেষ করে পাকুন্দিয়া ও মির্জাপুর বাজারে হাটের দিন বিপুলসংখ্যক মানুষ এ অংশটুকু দিয়ে পাকা সড়কে ওঠেন। কাঁচা রাস্তার অনেক অংশ দেবে গেছে। অনেক জায়গায় রয়েছে বড় গর্ত। পথচারীরা দুর্ভোগ নিয়ে চলাফেরা করছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য শাহ্ আলম জানান, এই অংশটুকু পাকা করা জরুরি। হিজলীয়া গ্রামের যেই দিকেই যাই অল্প দূরেই পাকা রাস্তা। কিন্তু এই রাস্তার জন্য বর্ষাকালে অসহনীয় দুর্ভোগ পড়তে হয়। রাস্তার মাটি এঁটেল হওয়ায় বর্ষায় দুর্ভোগ বাড়ে কয়েকগুণ। রাস্তাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে এই অংশ পাকাকরতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ওই রাস্তাটি এলজিইডির কী না জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। গুরুত্ব বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্রমান্বয়ে গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা পাকা করা হচ্ছে।