হোম > ছাপা সংস্করণ

পাঠকপ্রিয়তা

সম্পাদকীয়

কবি বা লেখক কি পাঠকের দিকে তাকিয়ে লিখবেন, নাকি নিজের যা ভালো লাগে, তা লিখবেন? এ রকম একটি বিষয় নিয়ে বহু আগে থেকেই তর্ক চলছে। কেউ বলছে, লেখা উঠে আসে মনের ভেতর থেকে। পাঠককে খুশি করার জন্য লেখা ঠিক নয়। কিন্তু এ কথাও তো সত্যি, পাঠক চাহিদার দিকে নজর রেখেও কেউ কেউ লিখে থাকেন। তাহলে সত্যিকারের সাহিত্য কি এই প্রশ্ন দিয়ে যাচাইবাছাই করা যায়?

এ রকমই একটা প্রশ্ন ছিল জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের। প্রশ্নটি করেছিলেন শহীদ কাদরীকে। প্রশ্নটা ভাবিয়েছিল কবিকে। তিনি ভেবে দেখলেন, লেখালেখির প্রথম দিকে পাঠকপ্রিয়তার দিকে একেবারেই নজর দেননি তিনি। যা লিখতে ভালো লেগেছে, সেটাই লিখেছেন। কিন্তু লেখালেখির মধ্যপথে এসে একবার ভাবলেন, এমন কিছু কবিতা তো লেখা সম্ভব, যা পাঠকপ্রিয়তা পাবে আবার তার মধ্যে লুকিয়ে থাকবে গভীর বক্তব্যও? লেখাটা হবে হালকা চালে, যেন পাঠকের বুঝতে একেবারেই কষ্ট না হয়।

সে রকমই একটি কবিতা লিখেছিলেন শহীদ কাদরী—‘রাষ্ট্র মানেই লেফট রাইট লেফট।’

এই কবিতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে, গোড়ার গলদ বা সব ধরনের শয়তানির উৎসই হচ্ছে আধুনিক রাষ্ট্র, অরিজিন অব অল ইভিলস।

কবিতাটায় ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের ‘স্টেট অ্যান্ড রেভল্যুশন’ বইটি থেকে কিছু অংশ কোট করা যেত। তাতে ভারিক্কি হতো কবিতাটি। কিন্তু শহীদ কাদরী ভাবলেন, এভাবে সহজ করে লিখেই দেখা যাক না, মানুষ কীভাবে কবিতাটিকে নেয়। একসময় দেখা গেল, মানুষ কবিতাটিকে নিয়েছে। পড়া হচ্ছে কবিতাটি।

পাঠকের ভালো লাগবে, সে রকম কবিতার দাম একেবারে নেই, তা তো নয়। দেখতে হবে কবিতাটি আদতে কবিতা হয়েছে কি না, নাকি তা হয়ে উঠেছে উচ্চকিত স্লোগান। স্লোগানেরও শৈল্পিক প্রকাশ থাকতে পারে। কিন্তু নিরেট স্লোগান তো আর কবিতা হতে পারে না।

সূত্র: জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, শহীদ কাদরী, লেখা না-লেখার গল্প, পৃষ্ঠা ৬৪

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ