রাজবাড়ী জেলাটি নদী বেষ্টিত হওয়ার পাশাপাশি কল–কারখানা কম থাকায় শীতের তীব্রতাও থাকে অনেক বেশি। শীতের শুরুতেই কদর বাড়তে শুরু করে লেপ–তোশকের। তবে, এবার কার্তিক থেকেই মোটামুটি ঠান্ডা পড়ে যাওয়ায় এখন থেকেই লেপ–তোশক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন কারিগরেরা।
জেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসাবে লেপ-তোশক বানানোর ভিড় পড়ে গেছে দোকানগুলোতে। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামবিহীন ভাবে চলছে লেপ–তোশক তৈরির কাজ।
পান্না চত্বরের লেপ দোকানদার আ. খালেক জানান, আধুনিক যন্ত্রে উৎপাদিত কম্বল ও ম্যাট্রেস সহজে পাওয়ার কারণে লেপের চাহিদা কমে গেছে। তবে সারা বছর অলস সময় পার করলেও শীতের এই সময়টাতে তাঁদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। শীতের চার মাস ব্যস্ত সময় পার করেন তারা। তিনি আরও জানান, লেপ-তোশক তৈরিতে খরচ বেড়েছে। একটি লেপ কিংবা তোশক বিক্রি করে তাঁদের ২শ থেকে ৩শ টাকা লাভ হয়। তবে লাভ কিছুটা কম হলেও কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁরা এখন খুশি।
আসাদ সর্দার নামের আরেক কারিগর বলেন আরও জানান, কাপড়ের মান বুঝেই লেপও তোশকের দাম নির্ধারণ করা হয়। চার থেকে পাঁচ হাত লেপের দাম পড়ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। আর তোশক তৈরিতে দাম পড়ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। তবে এবার প্রতি গজ কাপড়ে দশ থেকে পনেরো টাকা দাম বেড়েছে। তুলায় বেড়েছে বিশ থেকে পঁচিশ টাকা। গার্মেন্টসের সাদা ঝুট, ফোমের কাটা অংশ সবকিছুই কিনতে হচ্ছে বেশি দামে।
আসমা নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘শীত বাড়তে শুরু করেছে। তাই আগে ভাগেই লেপ তৈরি করতে এসেছি। এ বছর দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে।’
কামরুল ইসলাম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘দুই বছর আগে একটা লেপ বানিয়েছিলাম। সেটা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সে জন্য নতুন করে তৈরি করতে এসেছি। তবে দাম অনেক বেশি বলছেন কারিগরেরা। পাঁচ হাতে লেপের দাম বলছে ১ হাজার টাকা। দুই বছর আগে ছিল ছয় থেকে সাত শত টাকা।