কমলগঞ্জ উপজেলায় মণিপুরী নৃত্য দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সংস্কৃতির বিকাশ, সাম্প্রদায়িকতার বিনাশ’।
এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশেকুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিনহা, সাধারণ সম্পাদক কমলাকান্ত সিনহা, সাংগঠনিক সম্পাদক শান্তুমনি সিংহ প্রমুখ।
মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিনহা জানান, ১৯১৯ সালে নভেম্বরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিলেটে এলে প্রথমে মণিপুরী হস্তশিল্প ও এর কারুকাজ দেখে তিনি অভিভূত হন। পরে তিনি জানতে পারেন এই হস্তশিল্পের কাপড় মণিপুরীদের তৈরি। তিনি সিলেটের মাছিমপুরে মণিপুরীপাড়ায় গিয়ে মণিপুরী রাখাল নৃত্য দেখে মুগ্ধ হয়ে রাসলীলা নৃত্য দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কবিগুরুর আমন্ত্রণে যোগ দেন মণিপুরী রাসনৃত্যের গুরু কমলগঞ্জ উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের নীলেশ্বর মুখার্জ্জী। রবীন্দ্রসংগীতের গভীরতা ও কাব্যময়তার সঙ্গে মণিপুরী নৃত্যের সামঞ্জস্য থাকায় শান্তিনিকেতনে উচ্চাঙ্গ নৃত্যধারার মধ্যে মণিপুরী নৃত্য জনপ্রিয়তা পায়। এরপর বাংলাদেশে এবং ভারতে মণিপুরী নৃত্যের প্রচার ও প্রসার ঘটে।
এদিকে ২০১৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট আগমনের শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠান হয়। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মণিপুরী সমাজ কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিনহা ৬ নভেম্বরকে মণিপুরী নৃত্য দিবস পালনের ঘোষণা দেন।
আজ রোববার মণিপুরী নৃত্য দিবস উপলক্ষে মণিপুরী সমাজ কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমলাকান্ত সিনহা।