স্নেহার যন্ত্রণায় ব্যবহারিক খাতা শেষই করতে পারছে না বড় বোন নেহা। এই পেনসিল নিয়ে টানাটানি, ওই খাতার পাতায় দিল দাগ। উফ! স্নেহা একদমই ছোট, মোটে তিন বছর বয়স। বিকেলে মা ঘুমালেও তার চোখে ঘুম আসে না। আর তখনই পড়ার ঘরে এসে বোনের গা ঘেঁষে থাকে সে।
কিন্তু নেহাও তো ব্যস্ত বলো। ওরই বা কী করার আছে। কিন্তু যা-ই হোক, মায়ের ঘুম ভাঙার আগে অবধি ছটফটে এই ছানাকে তো থামাতে হবে। নেহার মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। সে বলল, স্নেহা, চলো একটা খেলা খেলি। আমি তোমার পছন্দের একটা গান ছাড়ব, তুমি নাচবে। যখন থামতে বলব, তখন তুমি হাত ফুলের মতো করে থেমে যাবে। স্নেহা বলল, দাও দাও। গান দাও।
স্মার্টফোনে বেজে উঠল ‘ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল’ গানটি। স্নেহা নাচছে আর নেহা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝামাঝি পর্যায়ে গান আসার পরই নেহা গান বন্ধ করে দিল। স্নেহা দুহাত ফুলের মতো করে থেমে রইল। এভাবে সে চুপ করে ১০ সেকেন্ড থাকল।
এবার নেহা বাজাল, ‘মেঘের কোলে রোদ উঠেছে বাদল গেছে টুঁটি’ স্নেহাও নেচে যাচ্ছে। নেহা বলল, আমি যখন গান বন্ধ করব তুমি বক হয়ে দাঁড়াবে। এমন করে ওরা খেলতে লাগল মা ঘুম থেকে ওঠা অবধি। নেহার প্র্যাকটিক্যাল খাতার কাজও হয়ে এল।