খাগড়াছড়ির রামগড়ে সরকারের খোলা বাজারে চাল-আটা বিক্রিতে (ওএমএস) অনিয়মের অভিযোগে এক ব্যবসায়ীর ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে পৌরসভার সোনাইপুল বাজারে ব্যবসায়ী মো. হারুনের ডিলারশিপ বাতিল করে বিক্রয় কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সোনাইপুল বাজারের মেসার্স হারুন ট্রেডার্সে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত। এতে ওএমএসের চাল-আটা বিক্রিতে অনিয়ম ও নীতিমালার শর্ত ভঙ্গের প্রমাণ পান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা গেছে, সরকারি বরাদ্দে রামগড় পৌর এলাকার তিনটি স্পটে তিনজন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি করা হচ্ছিল। এ জন্য প্রতি ডিলারকে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ কেজি চাল ও ১ হাজার কেজি আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়। শর্ত অনুযায়ী, ৩০ টাকা দরে চাল ও ১৮ টাকা দরে আটা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে বিক্রি করতে পারবেন, এ জন্য ক্রেতার স্বাক্ষর (টিপসহি) নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
তবে মেসার্স হারুন ট্রেডার্সের মালিক মো. হারুন দুস্থদের চাল-আটা মেসার্স আলমগীর স্টোরে অবৈধভাবে পাইকারি দামে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযানে এর প্রমাণ পাওয়ায় হারুনের ডিলারশিপ বাতিল করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ডিলার হারুনের বিরুদ্ধে গরিবের ওএমএসের চাল ও আটা কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ ছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ও দায় স্বীকার করার তাঁর ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। সেখানে নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে।