চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর রাঙ্গাদিয়া ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের ১ নম্বর ব্যাগিং প্ল্যান্টে গতকাল শনিবার কাজ করছিল কিশোর মো. ইফাত হোসেন। এ সময় বেল্টে আটকা পড়া সারের বস্তা তুলতে গিয়ে কাটা পড়ে তার বাম হাত।
পরে শ্রমিকেরা বিচ্ছিন্ন হাতসহ ইফাত (১৬) উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু পাঠানো হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হলেও বিচ্ছিন্ন হাতটি জোড়া লাগানো যায়নি।
ইফাতের মা ইয়াসমিন বেগম বলেন, ‘ইফাত স্থানীয় মেরিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। আমার স্বামী দিনমজুরির কাজ করে সংসার চালাত। কয়েক মাস ধরে তাঁর কোনো কাজ নেই। তাই পরিবারকে সহায়তা করতে এবং নিজের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে সার কারখানায় দিনমজুরি কাজ নেয় ইফাত।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ১৮ বছরের নিচে কোনো শ্রমিক কারখানায় প্রবেশের নিয়ম নেই। অথচ ঠিকাদারের মাঝিরা মজুরি খরচ বাঁচাতে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাজে নিয়ে আসে। তাদের কৌশলে কারখানায় ঢোকানো হয়। এ ক্ষেত্রে ঠিকাদারের চেয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি বেশি।
বিষয়টি স্বীকার করে কারখানার ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আলমগীর জলিল বলেন, মাঝে মধ্যে কিছু অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিককে কাজে দেখা যায়। ট্রাকে করে তারা কারখানার ভেতরে ঢোকে। এ কাজ করেন ঠিকাদারের লোকজন। এটা ঠিকাদারের গাফিলতি। দুর্ঘটনার বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত। তবে এ ঘটনায় পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।’