মুগদায় একটি বাসায় গ্যাসের লাইনে লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে দক্ষিণ মুগদা মাতব্বরগলির ৩৭ নম্বর বাড়ির নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুধাংশু বৌদ্ধ, তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বারৈ, পাঁচ বছরের একমাত্র ছেলে অরুপ বৌদ্ধ ও সুধাংশুর শাশুড়ি সেফালী রানী বারৈ।
প্রিয়াঙ্কার বড় ভাই পলাশ বারৈ জানান, তাঁর বোন পরিবারসহ শরীয়তপুর ভেদেরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাড়িতে থাকেন। বোন জামাইয়ের চিকিৎসা করাতে গত শনিবার তাঁরা ঢাকায় আসেন। গতকাল সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রিয়াঙ্কা পানি গরম করতে রান্নাঘরে যান। গ্যাসের চুলা জ্বালাতে মেস ঠুকতেই রান্নাঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে তাঁরা চারজন দগ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, তাঁদের সবার অবস্থাই গুরুতর। কে কতখানি দগ্ধ হয়েছেন তা পরে বলা যাবে।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, মুগদায় বিস্ফোরণে শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে শিশু অরূপের শরীরের ৬৭ শতাংশ, বাবা সুধাংশুর শরীরের ২৫ শতাংশ, মা প্রিয়াঙ্কার শরীরের ৭২ শতাংশ এবং নানি শেফালির শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। জরুরি বিভাগে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। শিশুসহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মুগদা থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর জানান, সকালে নাস্তা বানাতে গিয়ে বাসার ভেতরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন দগ্ধ হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সিলিন্ডার লিকেজ থেকে তাঁরা দগ্ধ হয়েছেন।