হোম > ছাপা সংস্করণ

‘২০২৫ সালের পর দেশে ইটভাটা থাকবে না ’

বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান

তিন বছর পর (২০২৫ সালের) দেশে কোনো ইটভাটা রাখবে না বলে সরকার ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে রক্ষায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (নেপ) প্রণয়নে এক পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। গতকাল রোববার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), আইসিসিসিএবি-ইক্যাব ও সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) যৌথভাবে এর আয়োজন করে।

মিজানুল হক হক বলেন, ‘তিন বছরের মধ্যে ইটের পরিবর্তে ভবনসহ নির্মাণকাজে ব্লকের ব্যবহার করা হবে। ইতিমধ্যে দেশে অনেক ব্লক তৈরির কারখানা হয়েছে। চট্টগ্রামেও দুটি ব্লক তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব ব্লক ব্যাপকভাবে ব্যবহার হলে ইটের প্রয়োজন হবে না। ফলে আর ইট ভাটার দরকার থাকবে না।’

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে ভার্চুয়ালি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পানি ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।

সভায় সরাসরি উপস্থিত ও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, যুগ্ম সচিব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ জাতিসংঘ উইংয়ের প্রধান অমল কৃষ্ণ মণ্ডল, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হুজুর আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. মনোয়ার। এ ছাড়া বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, পার্বত্য তিন জেলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), বান্দরবানের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান, এনজিও প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।

সভায় ইউএনওরা তাঁদের এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কাটা, অবৈধ ইটভাটা, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন, করাত কল স্থাপনের প্রভাবে জলবায়ু ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির কথা উল্লেখ করেন। এসব বিষয় প্রশাসন জেনেও নীরব থাকছেন বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক এবং এনজিও প্রতিনিধিরা।

মূল প্রবন্ধে আইনুন নিশাত বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ জেলায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট রয়েছে। বিশেষ করে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার চলছে। খাল, নদী, ছড়াগুলো শুকিয়ে গেছে। পাহাড়ে নির্বিচারে গাছ কাটায় পানির উৎসগুলো মরে গেছে। তাই পানির সংকট তৈরি হয়েছে।’ এই পরিস্থিতি কঠোরভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ