হোম > ছাপা সংস্করণ

সাংসদের হস্তক্ষেপমুক্ত ভোট দাবি

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চতুর্থ ধাপের ১০ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা স্থানীয় সাংসদ মুজিবুল হক মুজিবের বিরুদ্ধে অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় তাঁরা সাংসদের হস্তক্ষেপমুক্ত, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও দেন।

গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শেষে তাঁরা মানববন্ধন করেন। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গুণবতী ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মাওলা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা স্থানীয় সাংসদের ছত্রছায়ায় সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করছেন। জানা গেছে, নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে সকালে কেন্দ্রে আনার পরিকল্পনা করে রেখেছেন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে নানা বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হচ্ছি। তাঁরা আমাদের গণসংযোগ করতে দিচ্ছে না। পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। আমাদের লোকদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এতে আমরা আতঙ্কিত। সাধারণ ভোটারেরাও ভয় পাচ্ছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন শুভপুর ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এ এস এম শাহিন মজুমদার, কনকাপৈতের মো. ইকবাল হোসেন, মো. বেলাল হোসেন, জগন্নাথের মো. মাহবুবুল হক খান, গুণবতীর মোস্তফা কামাল, চিওড়ার মো. আবু তাহের ও বাতিশা ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেন মজুমদার প্রমুখ।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও শুভপুর ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিন মজুমদার বলেন, ‘স্থানীয় সাংসদ মুজিবুল হক আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা দিয়েছিলেন। পরপর দুবার মনোনয়ন বঞ্চিত করেছেন। আমাকে না দিয়ে জামায়াত ও জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারীকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন।’

বাতিশা ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেন মজুমদার বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমার নির্বাচনী কাজে বাধা দিচ্ছেন। আমার পরিবার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা হচ্ছে।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন উপজেলার ৯ নম্বর কনকাপৈত ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জাফর ইকবাল। তাঁর দাবি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা পাঁচ বছর পর নির্বাচনের সময় মাঠে আসেন। তাঁদের কোনো জনসমর্থন নেই। তাঁরা আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে দলের ক্ষতি করেন। নির্বাচনে তাঁদের ভরাডুবি হবে জেনে বিভিন্ন অপবাদ ছড়াচ্ছেন।

এ বিষয়ে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাংসদ মুজিবুল হক মুজিব বলেন, ‘আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনের আগে এলাকায় সাংসদদের নির্বাচন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। তাই এলাকায় গিয়ে কাজ করারও কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে এমন কোনো কাজে আমি নেই। যাঁরা এসব অভিযোগ করছেন, তাঁদের কোনো জনসমর্থন নেই। অভিযোগেরও কোনো ভিত্তি নেই।’

চিওড়া ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবু তাহের বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা মাঠে কাজ করছি। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ দেখছি না।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ