গফরগাঁওয়ের রাওনা ইউনিয়নের রাওনা গ্রামে বোরো ধান আবাদে সেচকাজে ব্যবহার হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপ। এতে কৃষকদের সেচ খরচ কমেছে, সেই সঙ্গে পানির সরবরাহও নিশ্চিত হয়েছে। বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে রাওনা গ্রামে সোলার প্যানেলের সাহায্যে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে ২৬টি সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ১৫ একর জমিতে শতাধিক কৃষক সেচ সুবিধা পাচ্ছেন।
কৃষকেরা জানান, সেচ সুবিধার জন্য চলতি মৌসুমে গত মৌসুমের চেয়ে ভালো ফলনের আশা করছেন তাঁরা। রাওনা গ্রামের কৃষক রবিউল, হারেজ আলী, হোসেন মিয়া, ফয়জুল্লাহ জানান, সোলার প্যানেলের সাহায্যে গভীর নলকূপ স্থাপনের কারণে সেচ সুবিধা সহজতর ও সাশ্রয়ী হয়েছে। আগে কাঠা প্রতি বিদ্যুৎ খরচ ছিল ৬০০ টাকা। সূর্যের আলোকশক্তি ব্যবহার করে সেচে খরচ হচ্ছে ২০০ টাকা। কাঠা প্রতি সেচ খরচে ৪০০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে কৃষকের।
সম্প্রতি রাওনা এলাকার সেচ প্রকল্প পরিদর্শনে আসেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রউফ, যুগ্ম সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক মো. সারওয়ার হোসেন, ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী রনি সাহা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী তানভীর হাসান প্রমুখ।
অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘এসডিজিতে সাশ্রয়ী পানি ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে। পতিত জমি এবং অকৃষি জমি সেচের আওতায় এনে কৃষকদের লাভবানের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেচ ছাড়া বোরো চাষ সম্ভব না। সেচের সুবিধা থাকলে এক ফসলি জমিতে তিনটি ফসল করা সম্ভব।’
যুগ্ম সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া বলেন, ‘খেতের মধ্যে নালা দিয়ে সেচ দিলে প্রচুর পানি নষ্ট হয়। সোলার সেচে আধুনিক বারিক পাইপ প্রযুক্তিতে ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইন দিয়ে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে পানির অপচয় রোধ ও আর্থিক সাশ্রয় হয়। সারা দেশে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ডিজেল ও বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমবে।’
সৌরশক্তি ব্যবহার ও ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. সারওয়ার হোসেন জানায়, ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নদীর চাহিদা অনুযায়ী ০.৫ কিউসেক সৌরশক্তি চালিত এলএলপি সেচস্কীম করা হয়েছে। এ প্রকল্প সফল হলে সেচ পাম্প ও সোলারের সংখ্যা বাড়ানো হবে।