বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ক্লোন করে জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মানুষের কাছে চাঁদা দাবি করেছে একটি চক্র। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চক্রটি ফোন করে টাকা দাবি করে।
গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, ‘একটি চক্র ইউএনওর মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তাঁর পরিচয় দিয়ে ৬ টন চাল দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বিষয়টি আমার সন্দেহ হলে ইউএনও স্যারকে জানাই।’
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, ‘কাবিখা প্রকল্পের ৬ টন চাল দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে ৩৬ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং বরগুনা জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরে দ্রুত পাঠাতে বলে। আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হলে আমি ইউএনও স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে জানতে পারলাম, ইউএনও স্যারের মোবাইল নম্বর একটি চক্র ক্লোন করেছে।’
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোসা. সোহেলী পারভীন মালা বলেন, ‘আমতলী ইউএনওর পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে সব ইউপি চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বর নেন এবং আমাকে কাবিখা প্রকল্পের চাল দেওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবি করে।’
আঠারোগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘কাবিখার ১০ টন চাল দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ওই প্রতারক চক্র।’
আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। ইউএনও স্যার অভিযোগ পাঠালেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’