হোম > ছাপা সংস্করণ

পরীক্ষামূলক চাষেই বাম্পার ফলন বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানে

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় প্রথমবারের মতো দুই বিঘা জমিতে ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ নামে নতুন জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। বিঘাপ্রতি ফলন পাওয়া গেছে ২৪ মণ। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অন্য জাতের ধানের চেয়ে অনেক কম হয়েছে। ফলন বেশি হওয়ায় উফশী জাতের অন্য ধানের চেয়ে এ জাতের ধান চাষে আগ্রহ দেখা দিয়েছে তাঁদের মধ্যে। কৃষি বিভাগ বলছে, পরীক্ষামূলকভাবে এ ধানের চাষ করা হয়েছে। প্রথমবারে বাম্পান ফলন পাওয়ায় আগামীতে এ উপজেলায় এই ধানের আবাদ বাড়বে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বঙ্গবন্ধু ১০০ নামের নতুন এই জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ধানটি উদ্ভাবন হওয়ায় এ জাতের ধানের নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’। এটি বোরো মৌসুমের একটি জাত।

এ জাতের ধানে জিঙ্কের পরিমাণ ২৫.৭ মিলিগ্রাম। চালে অ্যামাইলোজ ২৬.৮ শতাংশ এবং প্রোটিন রয়েছে ৭.৮ শতাংশ। এ জাতের ধানের হেক্টরপ্রতি গড় ফলন হয় ৭ দশমিক ৭ মেট্রিক টন। তবে উপযুক্ত পরিচর্যা ও অনুকূল পরিবেশ পেলে হেক্টরপ্রতি ৮ দশমিক ৮ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। প্রচলিত অন্য জাতের ধানের চেয়ে এ ধানে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অনেক কম হয়। প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে এ উপজেলায় দুই বিঘা জমিতে এ ধানের চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার আদিত্যপাশা ও খামা গ্রামে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু ১০০ ধান কাটছেন কৃষকেরা। স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্য ধানের চেয়ে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘাপ্রতি ২৩ থেকে ২৪ মণ ফলন পাবেন বলে জানান কৃষকেরা।

আদিত্যপাশা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুছমত আলী বলেন, ‘উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে এক বিঘা জমিতে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের নতুন ধানের আবাদ করেছি। এতে ফলন ভালো হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি জমিতে এ জাতের ধান আবাদ করব।’

খামা গ্রামের জালাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রথমবার এক বিঘা জমিতে এ জাতের ধান আবাদ করেছি। এতে ধান পেয়েছি প্রায় ২৪ মণ। ভালো ফলন হওয়ায় অন্য কৃষকেরাও এ ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিমুল হক সোহাগ বলেন, বঙ্গবন্ধু ১০০ একটি নতুন জাতের উফশী ধান। উচ্চফলনশীল এ ধানের চাল মাঝারি চিকন ও সাদা। ধানটির জীবনকাল ১৪৮ দিন। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অন্য ধানের চেয়ে অনেক কম। তাই এ ধান চাষে কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ