ময়মনসিংহে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। বাদ যায়নি মোটা চাল ও প্যাকেটজাত আটার দাম। মোটা চাল ৩ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা ও প্যাকেট আটা ৫ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম ডজনপ্রতি ১৫ টাকা বেড়ে ১৯৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর মেছুয়াবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
প্রশাসন বলছে, বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ডিমের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে রাখতে খামারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা বাজারে গিয়ে পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। সুকুমার খাদ্য ভান্ডারের মালিক চয়ন শাহা বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। তিনি বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে আটাশ ও উনত্রিশ চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা। নাজির শাইল ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা কেজি, কাটারিভোগ ৭৬, পাইজাম ৬৬, উনপঞ্চাশ ৫৮, আতপ ১১২, ঘি-ভোগ ৮৪ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
নিউ জঙ্গলবাড়ি স্টোরের মালিক মাসুদ মিয়া বলেন, ডালের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, বেড়েছে খোলা ও প্যাকেট আটার দাম। খোলা আটা ৩ টাকা বেড়ে ৫২ টাকা এবং প্যাকেট আটা ৫ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, বড় মসুর ডাল ৯২, দেশি মসুর ডাল ১৩০, ফাডি মসুর ৯৫, ভাঙা মাষকলাই ১৩০, মাষকলাই ১১০, বুটের ডাল ৯০, ভাঙা বুটের ডাল ৭৫, মুগডাল ১৩০ ও ছোলা বুট ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের মেসার্স হৃদয় ট্রেডাসের বিক্রেতা মোস্তাক মিয়া বলেন, প্রতি সপ্তাহেই ডিমের দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজনে চার টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা, হাঁসের ডিম ডজনে ১৫ টাকা বেড়ে ১৯৫ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২১০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
মাছমহালের মাছ বিক্রেতা মো. সানি বলেন, মাছের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তিনি বলেন, ছোট রুই ৩২০, মৃগেল ২৫০, কার্পজাতীয় মাছ ২৮০, গলদা চিংড়ি ৮৫০, বাগদা চিংড়ি ৬৫০, ছোট বোয়াল ৬৫০, মলা ২২০, চাপিলা ৫০০, দেশি চিংড়ি ৭০০, শিং ৫০০, বাইম ৫৫০, সিলভার ২৮০, পাঙাশ ১৮০, শোল ৫৫০, মাগুর ৩৫০, ছোট কাতল ৩৬০, তেলাপিয়া ২২০ ও ছোট গ্রাসকার্প ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের মুরগি বিক্রেতা নাজমুল হক বলেন, ব্রয়লারের দাম কেজিতে ১০ এবং সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। তিনি বলেন, ব্রয়লার ১৭০, সোনালি ৩২০, লেয়ার ৩০০, সাদা কক ২৭০ ও দেশি মুরগি ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গরুর মাংস ৬৫০ ও খাসির মাংস ৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিতভাবে কাজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ডিমের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে রাখতে খামারিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে তাহলে তাঁদের জরিমানার আওতায়
আনা হচ্ছে।’