মুলাদীতে রেজাউল করিম (১৯) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে মুলাদী হাসপাতালে সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রেজাউল করিম পাশের উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জের লতা ইউনিয়নের কাদিরাবাদ এলাকার শাহ আলম ফকিরের ছেলে। মুলাদী সরকারি কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
রেজাউল করিম জানায়, মুলাদী সরকারি কলেজের কয়েকজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক নাজমুল আহসানের কাছে প্রাইভেট পড়ত। শিক্ষার্থীরা মিলে শিক্ষকের কাছ থেকে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়েনি এমন কোনো শিক্ষার্থীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এতে কিছু ছাত্র ক্ষিপ্ত হয়। তারা পরীক্ষা শুরুর দিন টিউশন পড়া শিক্ষার্থীদের ভয় দেখায়।
ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের শেষ পরীক্ষা ছিল গতকাল মঙ্গলবার। রেজাউল পরীক্ষাকেন্দ্র মুলাদী সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে হাসপাতালে সামনে পৌঁছালে ওই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাসহ ১৫-২০ জন হামলা চালায়। এ সময় তারা রেজাউলকে কিলঘুষি, লাথি মেরে নিচে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে তাকে পায়ের নিচে পিষ্ট করে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়। পরে পার্শ্ববর্তী দোকানদার ও পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করায়। প্রত্যক্ষদর্শী আতিকুর রহমান জানান, উদ্ধার করতে একটু দেরি হলেই সে মারা যেত। ঘটনার পর হামলাকারীরা গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
মুলাদী থানার উপপরিদর্শক কাইয়ুম হোসেন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আহত পরীক্ষার্থীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। সে সুস্থ হলে অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।