শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাঁদপুর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতারা। গতকাল বুধবার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি, সাবেক উপজেলা ও পৌর চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ গাজী।
লিখিত বক্তব্যে ইউসুফ গাজী বলেন, ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বা তাঁর পরিবারের কেউ জড়িত নন। শুধু তা-ই নয়, বিগত ১৩ বছরে ডা. দীপু মনির নির্বাচনী এলাকায় বহু সরকারি স্থাপনা নির্মিত হয়েছে এবং এ সকল স্থাপনার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। চাঁদপুরে কোনো অধিগ্রহণকৃত জমিতে কোথাও কখনো ডা. দীপু মনি বা তাঁর পরিবারের কোনো জমি ছিল না।’
ইউসুফ গাজী বলেন, ডা. দীপু মনির উদ্যোগে চাঁদপুরের হাইমচরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়। সেখানে জমির মূল্য শতাংশপ্রতি ৫ হাজার টাকা থেকে কয়েক লাখ টাকায় উন্নীত হয়। সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ লাভের আশায় বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সেখানেও ডা. দীপু মনি বা তাঁর পরিবারের কেউ কখনো কোনো জমি ক্রয় করেননি।
ইউসুফ গাজী আরও বলেন, ‘যে বা যারা কোনো কোনো গণমাধ্যমে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডা. দীপু মনি বা তাঁর পরিবারকে জড়িয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করছে, তাদের আসল উদ্দেশ্য উদঘাটিত হওয়া জরুরি। ডা. দীপু মনি ও তাঁর বড় ভাইয়ের কেউ কখনো কোনো আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতির সঙ্গে কোনো দিন জড়িত ছিলেন না বা নেই। অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারিত জমির মূল্য ইচ্ছাকৃতভাবে বৃদ্ধি করার জন্য বেশি মূল্যে জমি হস্তান্তরের ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তবে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে ডা. দীপু মনিও মনে করেন।’
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসের পরিচালনায় উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন কাজী শাহাদাত, শহীদ পাটওয়ারী, শরীফ চৌধরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, আলম পলাশ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন, মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক রনজিৎ রায় চৌধরী, যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ প্রমুখ।