‘৬ মাস হলো কল পুতে গেছে এখন পর্যন্ত পানিও ওঠে না, গোড়াও বাঁধে দেয় না। আমরা গরিব তাই বুঝি এই দশা।’ কথাগুলো বলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার গোলাহার গ্রামের আনোয়ার হোসেন। তাঁর বাড়ির পাশে ছয় মাস আগে সরকারি একটি নলকূপ (টিউবওয়েল) বসানো হয়। এখন পর্যন্ত সেটির গোড়ার প্লাস্টার পাকাকরণ ও নলকূপের চেকবাল্ব লাগানো হয়নি।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এপ্রিল-মে মাসে সরকারিভাবে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে গরিব বসতি এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে ২৬টি করে মোট ১৩০টি টিউবওয়েল (হ্যান্ডপাম্প) বসানো হয়। যেগুলোর গোড়া বাঁধায় প্লাস্টারের কাজ বর্তমানে চলছে।
উপজেলার গাংগাইর গ্রামের জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘মার্চ মাসে আমাদের পাড়াতে একটি নলকূপ বসানো হলেও আমরা পানি পান করতে পারিনি। টিউবওয়েলটি চালুর জন্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান , উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে ধরনা ধরেও কোনো কাজ হয়নি।’
সংশ্লিষ্ট বরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু রাশেদ আলমগীর বলেন, ‘কোন ইউনিয়নে টিউবওয়েলের গোড়া পাকাকরণ শুরু হয়েছে আমার জানা নেই। তবে আমার ইউনিয়নে গত অর্থ বছরের একটি টিউবওয়েলের গোড়া পাকা করা হয়নি।’
উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শামীম হোসেন বলেন, করোনারকালীন কাজ কিছুদিন বন্ধ ছিল এবং ঠিকাদারের আবেদনের মাধ্যমে কাজের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে দ্রুত টিউবওয়েল গোড়া পাকাকরণ করা হবে।