কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে আড়াই মাস আটকে রেখে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মো. সমির মিয়া (৪৮) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এর আগে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের পর দেখা করতে গেলে ওই কিশোরীকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
অভিযুক্ত মো. সমির মিয়া (৪৮) কুলিয়ারচর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা।
গতকাল রোববার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান ভুক্তভোগী ওই কিশোরী। তাঁর অভিযোগ, সমির মিয়ার সঙ্গে রং নম্বরে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের একপর্যায়ে দেখা করতে গিয়ে দেখে লোকটি তার বাবার বয়সী। এ দেখে কথা না বলে চলে আসতে চাইলে তাকে রুমালে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। পরে গাজীপুরের একটি বস্তিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আড়াই মাস আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আড়াই মাস আগে আমার মেয়ে নিখোঁজ হলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। মেয়েকে খোঁজার সামর্থ্য আমার ছিল না। ঈদের আগে সমির মিয়া একা বাড়ি ফিরলে বিষয়টি পুলিশকে জানাই।
পরে পুলিশ সমির মিয়াকে চাপ দিলে দুই-একদিন পরই মেয়ে ফিরে আসে। ঈদের পরদিন বুধবার মেয়ে ফিরে আসার পর তার সঙ্গে ঘটা সবকিছু আমাকে খুলে বলে। তাকে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতনের অসংখ্য চিহ্ন এখনো শরীরে রয়েছে। আমি ওদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার কুলিয়ারচর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।