অসময়ে বৃষ্টিতে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাকা সড়কে কাদা জমে দুর্ভোগ বেড়েছে। পাকা সড়কে মাটির স্তর পরে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
এতে বিপাকে পড়েছে সড়কে চলাচল করা পথচারী। সড়কের পাশে গড়ে ওঠা ইটভাটার মাটি রাস্তায় স্তূপাকারে পড়ে থাকায় বৃষ্টির পর চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। খোলা যানবাহনে বহনের কারণে রাস্তার ওপর মাটি পড়ে থাকছে। এতে বৃষ্টির পর রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
গত রোববার দুপুরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। কাদাপানিতে উপজেলার বিভিন্ন ভাটার সামনের সড়ক গুলো পিচ্ছিল হয়ে যায়। ইট ভাটায় মাটি সরবরাহকারী গাড়ি থেকে প্রতিদিন মাটি পড়ে দীর্ঘদিনে এই অবস্থা হয়েছে বলে এলাকাবাসী। বাবুখালী ইউনিয়নের চালিমিয়া গ্রামের মোটরসাইকেল চালক ইমরান মোল্যা বলেন, ‘প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে লোক নিয়ে মাগুরা যাওয়া আসা করি। কিন্তু আলোকদিয়া এলাকায় বেশি ভাটা থাকায় রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে অন্য রাস্তা ব্যবহার করতে হয়।’
মহম্মদপুর উপজেলার কানুটিয়া এলাকার তুবা ব্রিকসের মো. গোলাম আজম সাবু বলেন, ‘বৃষ্টি পরবর্তী রাস্তায় কিছুটা কাঁদা হয়। আমরাও অনেক সময় শ্রমিক লাগিয়ে রাস্তার কাঁদা সরানোর কাজ করি। মাটি বহনকালে পরবর্তীতে যেন রাস্তায় মাটি না পড়ে সে দিকে খেয়াল রাখা হবে। ‘
মাগুরা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে মৌখিকভাবে ইটভাটা মালিকদের জানানো হয়েছে। পরে লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে খোলা যানবাহনে মাটি বহন করতে নিষেধ করা হয়। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। এ ব্যাপারে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি।’