হোম > ছাপা সংস্করণ

শিকলবন্দী জীবন অন্ধ মা আর প্রতিবন্ধী ছেলের

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

মা অন্ধ আর ছেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তাই মা রহিমা বেগম কোমরের সঙ্গে তাঁর আট বছরের সন্তান আব্দুর রহমানকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। প্রতিবন্ধী ছেলের চোখ দিয়েই রহিমার পথ চলা।

অন্যের দেওয়া সহযোগিতায় চলে মা-ছেলের। গত মঙ্গলবার সাহায্য চাইতে শহরে এসেছিলেন মা-ছেলে। রাত হয়ে যাওয়ায় আশ্রয় নেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। একপর্যায়ে সেখানে মেঝেতে শিকলবন্দী অবস্থায় মা-ছেলে শুয়ে পড়েন।

মা-ছেলের শিকলবন্দী দৃশ্যটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগী ও স্বজনদের নজরে পড়ে। অনেকে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। ওই পোস্ট দেখে রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ। তিনি মা-ছেলের জন্য শয্যা ও কাপড়সহ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামের ভ্যানচালক সালাম হোসেনের স্ত্রী রহিমা। বছর দশেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। এই দম্পতির প্রথম সন্তান আব্দুর রহমান হওয়ার কিছুদিন পরেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান সালাম। রহিমা আগে থেকেই চোখে কিছুটা কম দেখতেন। একদিন হঠাৎ তাঁর ঘরে আগুন লাগে। আগুনে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান। এরপর ছোট্ট সন্তান আব্দুর রহমানকে নিয়ে অন্ধ রহিমার ঠাঁই হয় একই গ্রামের বাবার বাড়িতে। কিন্তু সেখানেও জায়গা হয়নি তাঁদের। এখন মা-ছেলের ঠিকানা পথে পথে আর রাত কাটে কোনো না কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনের চালায়। চোখে না দেখার কারণে ছেলের সাহায্যেই পথ চলতে হয় রহিমার। ছোট্ট ছেলেটি কোথাও যেন হারিয়ে না যায় সে জন্য কোমরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ