চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। আইএ ভর্তি হন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে। এ সময়ই তিনি বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। একই সময়ে সংগঠনের এক সমাবেশে বক্তব্যরত অবস্থায় গ্রেপ্তার হন। চার বছর জেলে ছিলেন। চট্টগ্রামে জেলে বসেই লিখেছিলেন ‘আরেক দুনিয়া থেকে’ নামে রোজনামচা। লেখাটি গোপনে জেল থেকে পাঠানো হলে কলকাতায় ‘নতুন সাহিত্য’ পত্রিকায় ছাপা হয় জামিল হোসেন ছদ্মনামে। তখন লেখাটি নিয়ে চারদিকে সাড়া পড়েছিল।
জেলে থেকেই তিনি আইএ পাস করেন। মুক্ত হওয়ার পর সংসারে আর্থিক সহযোগিতার জন্য আজিমপুরের ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন। একই সঙ্গে জগন্নাথ কলেজের নৈশ শাখায় বিএ ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে বিএ পাস করেন।
অসম্ভব মেধাবী সাবের ফেডারেল ইনফরমেশন সার্ভিসের পরীক্ষায় পুরো পাকিস্তানে প্রথম স্থান অধিকার করেন। কিন্তু তিনি বামপন্থী বলে ও জেলে থাকার কারণে চাকরি হয়নি। একসময় তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে সংবাদ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন।
তাঁর লক্ষ্য-প্রত্যাশা-প্রাপ্তি ছিল সমন্বয়হীন, যা তাঁকে হতাশ করে তুলেছিল। এক জমিদারকন্যার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়েছিল। সে প্রেমও টেকেনি। সেই থেকে তাঁর মানসিক বৈকল্য ঘটে। তিনি আর সুস্থ হননি। পাগল অবস্থায় তাঁর জীবনের শেষ ঠিকানা ছিল দৈনিক সংবাদ অফিস।
তাঁর সাহিত্যকর্মগুলো হলো—গল্প সংকলন: এক টুকরো মেঘ, শিশু সাহিত্য: ক্ষুদে গোয়েন্দার অভিযান, অনুবাদ: ইসকাপনের বিবি, পাগলের ডায়েরি, কালো মেয়ের স্বপ্ন।
১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ সকালে পাকিস্তানি সেনারা সংবাদ অফিস পুড়িয়ে দিলে আগুনে পুড়ে শহীদ হন তিনি।