সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে বিয়ানীবাজারে রীতিমতো বিপ্লব হয়েছে।
উপজেলায় নারী শিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি হলেও কর্মক্ষেত্রে তাঁরা পিছিয়ে আছেন। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, সাধারণ ধারার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরি না পাওয়ার হতাশা অনেককে গ্রাস করছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ে ভর্তির হার শতভাগ, ছাত্রছাত্রীর সমতা, নারী শিক্ষায় অগ্রগতি, ঝরে পড়ার হার কমে যাওয়াসহ শিক্ষার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশের মধ্যে রোল মডেল এখন বিয়ানীবাজার উপজেলা। এখানে নারী শিক্ষায় গত দশ বছরে নীরব বিপ্লব ঘটেছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রী সংখ্যা বেশি। এ ক্ষেত্রে মেয়েদের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির হার তুলনামূলকভাবে বেশি এবং প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ছেলেদের তুলনায় কম। তবে উচ্চশিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের এই হারে পরিবর্তন দেখা গেলেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে এই হার ঊর্ধ্বমুখী।
আফরোজা বেগম নামের এক শিক্ষিকা বলেন, বিয়ানীবাজারের নারীরা শিক্ষাগ্রহণ করলেও উচ্চপদস্থ সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের আগেই তাঁদের সংসারে মনোযোগী হতে হয়।
প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০ দশমিক ৫৪ শতাংশই নারী। এর মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় প্রায় শতভাগ ছাত্রী অংশ নিচ্ছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজারের প্রবীণ শিক্ষাবিদ আলী আহমদ জানান, নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করছে ঠিকই, তবে জড়তা পিছু ছাড়েনি বিয়ানীবাজারের অভিভাবকদের। এ জন্য মেয়েরা সফলতার চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছতে পারছে না।