এপ্রিলের ৩ ও নভেম্বরের ১৩—পঞ্জিকার এই দুই দিবস বেন স্টোকসের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ ক্রিকেটের ঐতিহাসিক দিন দুটির সঙ্গে দুই চরিত্রে জড়িয়ে আছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে স্টোকসের ৪ বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন কার্লোস ব্রাথওয়েট।
সেবার কান্নায় ভেঙে পড়েন স্টোকস। কিন্তু এরপরে ইতিহাসই লিখলেন তিনি। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেললেন স্টোকস। উইন্ডিজকে শিরোপা তুলে দিয়ে হয়েছিলেন খলনায়ক; কিন্তু গতকাল ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২ রানের মন্থর ইনিংস খেলেই স্টোকস ফাইনালের নায়ক। এবার আর ভুল করেননি, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে দলের কঠিন সময়ে হাল ধরে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।
স্টোকস এই শিক্ষা রপ্ত করেছেন আরও আগেই। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডকে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দিতে তাঁর অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে ৯৮ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে—১০ ইনিংসে ৬৬.৪২ গড়ে ৪৬৫ রান এবং ৪.৮৩ ইকোনমি রেটে ৭টি উইকেট নিয়েছিলেন। এবার ফাইনাল শেষে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাই বললেন স্টোকস, ‘সেরা দলগুলো ভুল থেকে শিক্ষা নেয় এবং পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য অপেক্ষা করে।’