গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে প্রতিদিনই হাজারো পর্যটক আসেন। জাফলংয়ে বেড়াতে আসা এসব পর্যটকের জন্য চালু হয়েছে প্রবেশ ফি। জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টে প্রবেশের তিনটি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। জাফলংয়ে ঢোকার শুরুতেই এসব পয়েন্টে প্রতি পর্যটককে ১০ টাকা হারে প্রবেশ ফি দিয়ে স্পটে যেতে হবে।
গত বুধবার সকাল থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১০ টাকা প্রবেশ ফি দিলে পর্যটকেরা নির্ধারিত খরচে ট্যুর গাইড, ফটোগ্রাফার ও নৌকা ভাড়া করতে পারবেন। পাশাপাশি থাকবে বিনা মূল্যে ওয়াইফাই সেবা। জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির মাধ্যমে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন এটি তদারকি করছে।
এখানে বেড়াতে আসা লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনটি এন্ট্রি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়েন্টগুলো হচ্ছে, জাফলং বিজিবি পয়েন্ট, বল্লাঘাট পয়েন্ট ও জিরো পয়েন্ট। এখন থেকে এই তিন এন্ট্রি পয়েন্ট দিয়ে ১০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে জিরো পয়েন্টে প্রবেশ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে তিন মাস এই কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করে জাফলংকে আরও পর্যটনবান্ধব করা হবে।
সাদ্দাম হোসেন নামের এক পর্যটক বলেন, ‘কয়েকজন বন্ধু মিলে ঘুরতে এসেছি। সবাই টিকিট সংগ্রহ করে জাফলংয়ে ঢুকলাম। এর আগে আসলেও এভাবে টিকিট কেটে এবারই প্রথম। আসলে ১০ টাকা বড় কথা নয়। যদি এই টাকা দিয়ে পর্যটন এলাকার উন্নয়ন হয় তাহলে এটি একটি ভালো উদ্যোগ।’
পর্যটক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জনপ্রতি ১০ টাকা হারে টিকিট নিয়ে ঢুকেছি। যেহেতু এটা সরকারি কাজ তাই এখানে কিছু বলার নাই। জানতে পেরেছি টিকিটের এই টাকা পর্যটনকেন্দ্র উন্নয়নের কাজে ব্যয় হবে।’
জাফলং পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, এখন থেকে তিনটি এন্ট্রি পয়েন্ট দিয়ে ১০ টাকা ফি দিয়ে জাফলংয়ে প্রবেশ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে পর্যটকদের ওয়াইফাই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এরপর টিকিট দেখালে ফটোগ্রাফার, ট্যুর গাইড ও নৌকার মাঝি সহজেই পাওয়া যাবে।
ইউএনও আরও বলেন, তিনটি পর্বে ভাড়া নিয়ে একধরনের নৈরাজ্য ছিল। এখন ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও কোনো পর্যটক অভিযোগ করলে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিন মাস এই কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে দেখার পর পুরো জাফলংকে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনাও রয়েছে।