জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানায় অভারহোলিং (ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীণ অংশ পরিষ্কারকরণ) শেষে বছর না পেরোতেই ফের দেখা দিয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটি। এই ত্রুটি সারাতে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। গত বছর কাগজে কলমে অভারহোলিংয়ের কাজ বাস্তবায়ন করায় ফের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কারাখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ব্রয়লার মেরামতের জন্য উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কারখানার একটি সূত্র জানায়, দেশের একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী কেপিআই-১ মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। কারখানার যান্ত্রিক ত্রুটি সরাতে নিয়ম মাফিক প্রতি দুই বছর অন্তর চলে অভারহোলিং। তবুও মাঝে মধ্যেই যমুনা সার কারখানার ইউরিয়া প্ল্যান্টের ব্রয়লারসহ অন্যান্য অংশে ত্রুটি দেখা দেয়। গত বছরের শেষ দিকে দুই মাস ধরে চলে যমুনা সার কারখানার অভারহোলিং। এ অভারহোলিং শেষে বছর না পেরোতেই গত রোববার আবারও দেখা দেয় যান্ত্রিক ত্রুটি। ত্রুটি সারাতে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকলেও সারের সংকট হবে না বলে দাবি করছে সার কারখানা কর্তৃপক্ষ। গত অভারহোলিং শেষে ৬-৭ মাস না পেরোতেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ নিয়ে কারখানা সংশ্লিষ্ট অনেকের মনে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তাদের দাবি, সঠিক ব্যক্তিদের দিয়ে সঠিক নিয়মে গত বছরের অভারহোলিং করা হলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। কারখানার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা, সিবিএ নেতা ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা যোগসাজশ করে ওভারহোলিংয়ের সিংহভাগ অর্থ ভুয়া বিল-ভাউচার করে লোপাট করেছে। কাগজে-কলমে বৈদেশিক যন্ত্রপাতি ক্রয় দেখিয়ে কারখানার পুরোনো যন্ত্রাংশ ঘষামাজা করে সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।
যমুনা সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কারখানা সচল রাখতে সকল ত্রুটি সারাতে প্রতি দুই বছর অন্তর অভারহোলিংয়ের কাজ করা হয়।
এ ব্যাপারে যমুনা সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কারখানার একটি ব্রয়লার মেরামতের জন্য গত রোববার থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেরামত কাজ শেষ করে উৎপাদনে যেতে ৩ সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। উৎপাদন বন্ধ রাখা হলেও সার যথেষ্ট পরিমাণে মজুত রয়েছে।