চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পান চাষে খরচ বেড়েছে। তবে আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ চাষিদের।
কৃষি বিভাগ জানায়, লোহাগাড়ায় ৩২ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বেশি পান চাষ হয়েছে আধুনগরের কুলপাগলী ও চুনতি এলাকায়। এ ছাড়া উপজেলার বড়হাতিয়ার চাকফিরানী, সাতগড়, নারিশ্চা, পুটিবিলা ও কলাউজানের পাহাড়ি এলাকায় পান চাষ হয়।
উপজেলার আধুনগর কুলপাগলী এলাকার কৃষক নুরুল কবির বলেন, তিনি ১৬ শতক জমিতে বাংলা এবং ২০ শতক জমিতে মিষ্টি পান চাষ করেছেন। তাঁর চাষে খরচ হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ টাকা। তবে পান বিক্রি করে তেমন লাভ হচ্ছে না। কৃষি বিভাগকে লোহাগাড়ার পান বাইরে রপ্তানি করার উদ্যোগ নিতে হবে বলে তিনি জানান।
একই এলাকার কৃষক মোক্তার হোসেন বলেন, তাঁর ৭টি পানের বরজ রয়েছে। প্রতি মাসে বরজ থেকে তিন বার পান তোলেন। বরজে ১৪-১৫ জন শ্রমিক দৈনিক কাজ করেন। প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। বাজারে পান বিক্রি করতে গিয়ে তিনি ন্যায্যমূল্য পান না। ৫০ হাজার টাকার পান ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হয়। তিনি সরকার থেকে সহযোগিতার কথা বলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, পান বিক্রি করে চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন। তবে অন্য এলাকার পান আসলে দাম একটু কমে যায়। তিনি বলেন, লোহাগাড়ার মাটি ও আবহাওয়া পান চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বরজে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখা এবং সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে পানের ভালো ফলন পাওয়া যায়।