তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কমবেশি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল। প্রতীক বরাদ্দের পর নিয়ম না মেনে মিছিল, সমাবেশ ও মহড়া করছেন প্রার্থীরা। তাঁদের পক্ষে স্থানীয় নেতারা প্রকাশ্যেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। সদস্য প্রার্থীরাও আচরণবিধি ভাঙছেন।
জকিগঞ্জের ৯টি ইউপি নির্বাচন পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫১ জন, সদস্য পদে ৩৫০ জন ও নারী সদস্য পদে শতাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাদমান সাকিব জানিয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে ৩টি ও সদস্য পদে ১টি কার্যালয় থাকার নিয়ম থাকলেও অনেকেরই এ সংখ্যা বেশি। প্রায় সবাই নিয়ম ভেঙে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও মহড়া করছেন প্রার্থীরা। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালানোর আইন কেউই মানছেন না। পথসভা করার ২৪ ঘণ্টা পূর্বে পুলিশকে অবগতও করা হয় না। কেউ কেউ নিয়ম ভেঙে দিচ্ছেন অনুদানের প্রতিশ্রুতিও। ফেসবুকে রঙিন পোস্টার তো নিয়মই হয়ে গেছে। তফসিল ঘোষণার আগে টানানো ডিজিটাল ব্যানার সরাননি এখনো অনেকে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নোমানোর রশিদ বলেন, রাত ১২টা পর্যন্ত বড় মাইক টানিয়ে উচ্চ আওয়াজে নির্বাচনী সভা করার কারণে বাচ্চাদের পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মাইকের শব্দ দূষণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাদমান সাকিব বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া যাবে প্রমাণ সাপেক্ষে তাঁদের জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হবে না।