বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের দায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আলম বাবুকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় শামসুল আলম বাবু উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। রায়ে বলা হয়, আসামির বয়স মাত্র ২৩ বছর। স্বল্প বয়স বিবেচনায় তাঁকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা অনুযায়ী ন্যূনতম সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
বাবুর বিরুদ্ধে সাভারের আশুলিয়া থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট এ মামলা করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই বছরের ২১ জুলাই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। বিচার চলাকালে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট জাবির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন সেতু বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ের ওপর একটি কলাম পত্রিকায় প্রকাশ করেন। ওই লেখা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোরশেদুর আকন্দ ফেসবুকে পোস্ট করেন। ওই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় শামসুল আলম বাবু তাঁর ‘মো. কবির মামু’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে একটি মন্তব্য করেন। যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। আল আমিন সেতু লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে বাবুকে আটক করা হয়।