গাজীপুরের শ্রীপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা পাট পরিদর্শককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী দলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার বরমী বাজারের পল্টন মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় হামলা চালিয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের বেশ কয়েকজনকে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক হামলাকারীকে আটক করে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত মো. নাঈম (২২) উপজেলার পাঠানটেক গ্রামের মৃত আব্দুল আল বাকীর ছেলে। তিনি জামান অ্যান্ড ব্রাদার্সের কর্মচারী। এ ছাড়া হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মনজুরুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম, পেশকার রুকুনুজ্জামান ও গাড়িচালক মমিন হোসেন।
গাজীপুর পাট অধিদপ্তরের পরিচালক ফাইজুল্লাহ্ বলেন, ‘পরিবেশদূষণ রোধ ও পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বাস্তবায়ন করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসি ল্যান্ডের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে বরমী বাজারে পৌঁছামাত্র সেখানকার চাল ব্যবসায়ী, ভ্যানচালকেরা আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।’
শ্রীপুর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, হঠাৎ করে একযোগে হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন বাজারের লোকজন। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ খবর দেওয়া হয়। এক ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বরমী বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত কি না, বিষয়টি বুঝতে পারেননি বাজারের ব্যবসায়ীরা। এরপর বিষয়টি বড় হয়ে যায়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, ‘বরমী বাজারের ব্যবসায়ীরা আমাদের ওপর হামলা চালান। এ সময় আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে। হামলার সঙ্গে জড়িত নাঈম নামের এক যুবককে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে ইতিমধ্যে সাজা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ভ্রাম্যমাণ আদালত মানুষকে সচেতন করার জন্য, তাই এ বিষয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। আমি মনে করি, এ ঘটনায় পর তাঁরা সাবধান হবেন। ভবিষ্যতে সরকারি আইন মানার চেষ্টা করবেন তাঁরা।’