যশোরের ঝিকরগাছার সোনাকুড় গ্রামের গৃহবধূ সখিনা খাতুন হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার আসামি মিজানুর রহমান (৪২)। তিনি সখিনাকে কথা-কাটাকাটির জের ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
গত মঙ্গলবার বিকেলে যশোরের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালারের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মিজানুর রহমান।
গত সোমবার সকালে সোনাকুড় গ্রামের একটি লেবু খেত থেকে সখিনা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পর দিন মঙ্গলবার তাঁর স্বামী নিয়াম উদ্দিন থানায় হত্যা মামলা করেন। সখিনা তিন সন্তানের জননী। লাশ উদ্ধারের দিনই সন্দেহভাজন হিসেবে মিজানুর রহমানকে পুলিশ আটক করে। মিজান একই গ্রামের আব্দুল ওহাব আলী সরদারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, জবানবন্দিতে মিজান হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে সখিনার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সখিনা শারীরিক সম্পর্কের জের ধরে তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা নিতেন।
ঘটনার আগের দিন বিকেলে ওষুধ কেনার নাম করে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে তিনি ১ হাজার টাকা নেন।
সন্ধ্যার দিকে আবার মেয়ের পরীক্ষার ফি বাবদ ৪ হাজার টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তালসারি মাঠে একটি লেবুখেতে আসতে বলেন সখিনা। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মিজানুর রহমান সখিনাকে ধাক্কা দিলে গাছের সঙ্গে লেগে মাথায় আঘাত পান। তখন মিজানুর তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
পরে সখিনার ব্যাগে থাকা বিষের বোতল লাশের পাশে রেখে আসেন।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন ভক্ত বলেন, ‘সখিনা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় মিজানুর রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’