‘আমরা তো কোনো অপরাধ করি নাই, আমাদের দাবিও অন্যায্য না। তারপরও কোথাও দাঁড়াতে গেলে আমাদের কেন এভাবে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষিত যুবসমাজের সঙ্গে যদি এই আচরণ করা হয়, তাহলে এই শিক্ষার মূল্যটা কী?’
২০১৮ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাইকে প্যানেল গঠন করে নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করতে গিয়ে বারবার বাধার মুখে পড়ে এভাবেই অভিযোগ জানান আবদুল কাদের।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধনের চেষ্টা করেন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রত্যাশীরা। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে তাঁরা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। আবদুল কাদের জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছ থেকে তাঁরা আগেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানব-বন্ধনের অনুমতি নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তাঁদের মানববন্ধন করতে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য বলেন, যানজট তৈরি হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করতে না পেরে মিরপুর-১-এর গোল চত্বরে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। কিন্তু সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। এর পর মিরপুরে শাহ আলী মাজারের সামনে মানববন্ধন শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু ১০ মিনিট না যেতেই সেখান থেকেও তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তিন দফা বাধা পেয়ে দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। দেশের ৬১টি জেলা থেকে আসা শতাধিক নিয়োগপ্রত্যাশী এতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার পদ শূন্য। অথচ শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তাঁরা নিয়োগ পাচ্ছেন না। এ জন্য নিয়োগ বাণিজ্য ও নিয়োগের দীর্ঘসূত্রতাকে দায়ী করেন তাঁরা। নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলেন, পদ শূন্য থাকার পরও উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ না দিয়েই ২০১৮ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করাটা অযৌক্তিক।