হোম > ছাপা সংস্করণ

মেলান্দহে তিন বছর বন্ধ সরকারি পাঠাগার

শাহীন রহমান, পাবনা

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা সরকারি পাঠাগারটি গত তিন বছর ধরে তালাবদ্ধ। পাঠাগারটি দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে বই ও সরঞ্জাম। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জানে না এই পাঠাগারটি সম্পর্কে। কোনো রকম কার্যক্রম না থাকায় পাঠকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, পাঠাগারটি পাঠক প্রিয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলান্দহ পৌরসভা কার্যালয়ের পাশেই পাঠাগারের দরজায় তালা ঝুলছে। তালায় মরিচা ধরেছে। দীর্ঘদিন ধরে তালা না খোলায় দরজার সামনে আবর্জনা ও ইটের খোয়া রাখা হয়েছে। এক সময় এই পাঠাগার বই প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত থাকত। অথচ এখন সময়ের ব্যবধানে অস্তিত্ব হারাতে যাচ্ছে উপজেলা সরকারি পাঠাগারটি।

বিখ্যাত লেখকের লেখা ইতিহাস-ঐতিহ্য, উপন্যাস, কাব্যগ্রন্থ, গবেষণাধর্মী হাজারেরও বেশি বই ছিল এই পাঠাগারটিতে। এখন চরম অযত্ন ও অবহেলায় পাঠাগারটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। নষ্ট হচ্ছে বই ও সরঞ্জাম।

জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে ৬০ জন সদস্য নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে ‘উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি’ নামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। সদস্যদের প্রথম মাসে চাঁদা দিয়ে পাঠাগারের সরঞ্জাম ও কিছু বই কেনা হয়। পরবর্তীতে সদস্যদের প্রতি মাসের চাঁদার টাকা দিয়ে আরও বই কেনা হয়। দীর্ঘদিন পাঠাগার সদস্যদের মাসিক চাঁদা ও সহযোগিতায় চলছিল। একপর্যায়ে সদস্যরা মাসিক চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে পাঠাগারটিও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। পরবর্তীতে পাঠাগারের পরিচালনার দায়িত্ব নেন মেলান্দহ পৌরসভা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে পাঠাগারের পরিচালনার দায়িত্ব নেয় উপজেলা প্রশাসন। পাঠাগারটির বই ও সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা পরিষদ হল রুমে। সেখানে দীর্ঘদিন কার্যক্রম পরিচালনার করা হয়। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন থেকে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেলে, আবার পৌরসভার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয় বই ও সরঞ্জাম।

স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুর রতন বলেন, আমি যখন ১৯৯০ সালে মেলান্দহ সরকারি কলেজে পড়তাম। প্রতিদিন এই পাঠাগারে গিয়ে বই পড়তাম। পাঠাগারটি নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। স্মৃতি জড়ানো পাঠাগারটি যেন হারিয়ে না যায় সে দিকে উপজেলা প্রশাসনের নজর দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

লেখক আসাদুল্লাহ ফরাজি বলেন, প্রথমে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠিত করে ছিলাম আমিসহ আরও কয়েকজন সহপাঠী মিলে। সবার মাসিক চাঁদা দিয়ে কার্যক্রম চালানো হতো। এক সময় সদস্যরা চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে। তখন থেকে কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে চলে যায়। পরবর্তীতে মেলান্দহ পৌরসভা কার্যক্রম চালানোর দায়িত্ব নেয়। আগে নিয়মিত পাঠাগারটি খোলা হত। প্রতিদিন লোকজন এসে বই পড়ত। খুব জাঁকজমকভাবে চলত। আর এখন পাঠাগারটি তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। দ্রুত পাঠাগারটি চালু করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

মেলান্দহ পৌরসভার সচিব শরিফুল ভূঁইয়া বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ পাঠাগারটি। পাশেই নতুন ভবন হচ্ছে। ভবন নির্মাণ শেষ হলেই পাঠাগারটির কার্যক্রম নতুন ভবনে পরিচালনা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম, মেলান্দহ পৌরসভার আওতায় পাঠাগারের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগিরই পাঠাগারটি পাঠক প্রিয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। আগের মতই জাঁকজমকভাবে আবার শুরু হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ