হোম > ছাপা সংস্করণ

গুদামে ধান ঢুকছে না লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

তিন মৌসুম ধরে নওগাঁর রাণীনগরে সরকারিভাবে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বর্তমানে খোলাবাজারে ধান ও চালের দাম বেশি রয়েছে। তাই লোকসান এড়াতে চলতি মৌসুমেও অর্ধেক মিলার চাল সরবরাহের চুক্তিতে আসেননি। ফলে এ মৌসুমেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তবে কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তি অনুযায়ী খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ না করায় গত তিন মৌসুমে ১৩ জন মিলারের জামানত বাজেয়াপ্ত ও লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এ মৌসুমে যেসব মিলার চুক্তিতে আসেননি এবং চুক্তিবদ্ধ মিলাররা চাল সরবরাহ না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা খাদ্যগুদাম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণভাবে ৪০ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ৮৫৫ মেট্রিক টন চাল এবং ২৭ টাকা কেজি দরে ২ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। ওই দিন পৌনে দুই মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হলেও এখন পর্যন্ত আর কোনো ধান সংগ্রহ হয়নি। এ ছাড়া উদ্বোধনের দিন থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ২৭৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী উপজেলায় নিবন্ধন করা ১২৫টি মিল ছিল। এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ না করায় গত তিন মৌসুমে ১৩ জন মিলারের জামানত বাজেয়াপ্ত ও লাইসেন্স বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে কেউ কেউ মারা গেছেন এবং মিল বন্ধ রয়েছে। ফলে বর্তমানে মোট ১০০ জন মিলার রয়েছেন বৈধ লাইসেন্সধারী। এর মধ্যে চাল সরবরাহে মাত্র ৫১ জন মিলার চুক্তিতে এলেও বাকি ৪৯ জন চাল সরবরাহের চুক্তিতে আসেননি।

তথ্যমতে, ২০২১ সালে আমন মৌসুমে ১ হাজার ৮৫৬ মেট্রিক টন চালের মধ্যে সংগ্রহ হয়েছিল মাত্র ১১১ দশমিক ৬ মেট্রিক টন এবং ৯১৬ মেট্রিক টন ধানের মধ্যে সংগ্রহ হয়েছিল মাত্র ১ মেট্রিক টন। ওই বছরে বোরো মৌসুমে ২ হাজার ৮৩৭ মেট্রিক টন চালের মধ্যে সংগ্রহ হয়েছিল ২ হাজার ৭৭২ দশমিক ৪৬০ মেট্রিক টন এবং ১ হাজার ৮৬১ মেট্রিক টন ধানের মধ্যে সংগ্রহ হয়েছিল মাত্র ৭৯১ দশমিক ৫২০ মেট্রিক টন। গত আমন মৌসুমে চালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ৯৬৯ মেট্রিক টন ধানের মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪ মেট্রিক টন।

উপজেলা ধান-চালকল মিল মালিক সমিতির সভাপতি মোছাদ্দেক খান বাবলু বলেন, চলতি মৌসুমে সরকারের নির্ধারিত দরের চেয়ে খোলা বাজারে প্রতি কেজি চাল তিন-চার টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এরপরও সরকারকে সহযোগিতা করতে এবং লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনে খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করতে হচ্ছে।

খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন বলেন, সরকারের নির্ধারিত দরের চেয়ে খোলা বাজারে কৃষকেরা প্রতি মণ ধানের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি পান। ফলে কৃষকেরা সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না। এ ছাড়া চলতি মৌসুমে অর্ধেক মিলার চাল সরবরাহের চুক্তিতে আসেননি। তাই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা রয়েছে। তবে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা যেন চাল সরবরাহ করেন, সে ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, যেসব মিলার চাল সরবরাহের চুক্তিতে আসেননি এবং সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সরকারকে সহযোগিতা করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ