বিশ্বকাপে তুলনামূলক দুর্বল মরক্কোর কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী স্পেন। মরক্কোর বিপক্ষে ১২০ মিনিটের ম্যাচ ১০১৯টি পাস খেলেছে লা রোজারা। কিন্তু গোলপোস্টের অন টার্গেটে শট মাত্র একটি। গোলের চেষ্টার এই ঘাটতির জন্যই সমালোচনার মুখে পড়েছে স্পেন ও তাদের খেলার কৌশল টিকি-টাকা।
টিকি-টাকার দিন কি তবে ফুরিয়েছে? এই টুর্নামেন্টেও সবচেয়ে বেশি পাস দিয়ে খেলার রেকর্ডও করেছে স্পেন। প্রতিপক্ষকে তেমন খেলতেই দেয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত ফল না আসায় তা নিয়েই সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, শুধু বল পায়ে রাখলেই কি হয়? এ কথার মোক্ষম জবাব দিয়েছেন স্পেনের বিপক্ষে জয়ী মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই, ‘আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলাম বলের দখল নিয়ে দুশ্চিন্তা করব না। আমরা চেয়েছিলাম আমরা কিছু সুযোগ পাব, সেগুলোই কাজে লাগাব।’
তবে ঠিকঠাক সেগুলোও কাজে লাগাতে পারেনি মরক্কো। চূড়ান্ত জয়টা এসেছে টাইব্রেকার থেকে।
স্পেনের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়াকে ‘পেছনের দরজা’ দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার মতো দেখছে সে দেশের গণমাধ্যম। তবে ফুটবল বিশেষজ্ঞদের ধারণা, টিকি-টাকাই নয় স্পেনের বিদায় হয়েছে আক্রমণভাগের ব্যর্থতায়। মরক্কোর বিপক্ষে প্রথম ৪৫ মিনিটে মাত্র একটি শট নিয়েছে গোলে। যেটি ১৯৬৬ সালের পর স্পেনের পক্ষে সবচেয়ে কম।
৯০ মিনিটে মাত্র সাতটি শটে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু গোলের দেখা না পাওয়াকেই দায়ী করলেন স্পেনের কোচ লুইস এনরিকেও। বললেন, ‘আমরা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছি কিন্তু গোলের দেখা পাইনি। ফাইনাল থার্ডে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম, কিন্তু যেভাবে আমরা খেলেছি তাতে সন্তুষ্টির চেয়ে বেশি।’
আধুনিক ফুটবলে বলের দখলের সঙ্গে যে গোলটাও গুরুত্বপূর্ণ সে কথাই বলছেন ফুটবল পণ্ডিতরাও। গোলখরা কাটাতে পারলে স্পেন যে আবারও বিশ্ব ফুটবলে শাসন করতে পারে, সে কথাতেও সায় দিয়েছেন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞরাই।