দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক হুমকি হয়ে আছে রাশিয়া। দেশটিতে যেকোনো সময় হামলা করতে পারেন ভ্লাদিমির পুতিন। এ শঙ্কার কারণে এবার গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে সেনা এবং সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। ইউরোপের প্রধান শক্তিধর দেশগুলোও রাশিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার। কিন্তু সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, অন্যতম পরাশক্তি জার্মানি এখনো অনেকটাই তালপাতার সেপাই। তাদের এ নীরবতা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোকে নতুন ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই আড়ালের শক্তি জার্মানি। বড় বড় ইস্যুতে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে দেশটি। সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছে নতুন সরকার। ভৌগোলিক কারণে ইউরোপের অন্যতম সংকটের এ সময়ে জার্মানি যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকবে বলেই ধরে নিয়েছিল অন্যরা। এমন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন নতুন চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। তবে জোর করে সীমানা বাড়িয়ে নেওয়ার বিরোধিতা করলেও সরাসরি রাশিয়াকে ইঙ্গিত করেননি তিনি।
এরই মধ্যে পুতিনের প্রশংসাও করেছেন জার্মান নৌবাহিনীর প্রধান। এতে করে রাশিয়ার প্রতি ক্ষীণ সমর্থন থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে জার্মানির নীরবতার অন্যতম কারণ রাশিয়ার সঙ্গে সাগরের নিচ দিয়ে সংযুক্ত ‘নর্থ স্ট্রিম ২’ গ্যাস পাইপলাইন। রাশিয়ার বিরোধিতা করলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে দেশটি।
জার্মানির এ নীরবতা রুশ আগ্রাসন উসকে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশ্লেষক নরবার্ট রটজেনের মতে, পুতিন চাইছেন ইউরোপে ভাঙন ধরাতে। এর মধ্য দিয়ে মূলত এ অঞ্চল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে দ্বিধায় ফেলে দেওয়া হবে। জার্মানির এমন নীরবতা কাজটা সহজ করে দেবে।