চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ বা প্রাণহানির কোন ঘটনা না ঘটলেও বাস থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে নারী-পুরুষসহ ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সীতাকুণ্ডের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নুরমার দিঘির পাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ দিকে বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর চট্টগ্রামমুখী মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চট্টগ্রামমুখী সড়কে দূর-পাল্লার শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়ক থেকে বাসটি সরিয়ে নিলে প্রায় এক ঘণ্টা পর যানজট স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রংপুর থেকে ছেড়ে আসা নিউ এডিশন পরিবহনের বাসটি মহাসড়কের নুরমার দিঘির পাড় এলাকা অতিক্রমকালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। এ সময় বাসটি মহাসড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে গেলে ভেতরে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে নিচে নামতে থাকেন। এতে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ১০ জন যাত্রী আহত হয়। এ সময় তারা আগুন নেভানোর চেষ্টার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।
খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস ও কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, বাসটিতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। তারা স্থানীয় এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে আধ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রাণহানি বা বড় ধরনের কোন ঘটনা না ঘটলেও বাসটি ও বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীদের মালামাল পুড়ে গেছে। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি নাজমুল জানান, ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নেভানোর পর দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে যানজট স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি গন্তব্যর উদ্দেশে ছেড়ে গেছে আটকা পড়া যানবাহনগুলো।