তিনি পূর্ণিয়া জেলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা এবং পাটনা সায়েন্স কলেজ থেকে আইএসসি পাস করার পর ওই কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্সসহ বিএ পাস করেন। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ পাস করেন। প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালো করার জন্য ডিভিশনাল স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। এরপর পাটনা ল’ কলেজ থেকে আইনে বিএল ডিগ্রি লাভের পর ১৯৩১ সালে তিনি আইন পেশা শুরু করেন। এ পেশায় তিনি সফলও হন।
কংগ্রেসের রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তিনি পূর্ণিয়ার জেলা কংগ্রেসের সেক্রেটারি হন। ১৯৪০-৪১ ও ১৯৪২-৪৫ সালে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে তিনি ভাগলপুর জেলে আটক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক মতবিরোধ হওয়ায় তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে সমাজতন্ত্রী দলে যোগ দেন।
একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে তাঁর ছিল বিপুল এবং বিস্তৃত অধ্যয়ন। মার্ক্সীয় দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে ফরাসি সাহিত্য, ইতিহাস, পুরাণ, মনস্তত্ত্ব–সবকিছুতেই ছিল তাঁর আগ্রহ।
নিজের লেখার ব্যাপারে অতৃপ্ত, প্রচারবিমুখ, নির্জন, নীরব মানুষটি নিজের ব্যাপারে কখনো মুখ খোলেননি। নিজেকে আড়ালে রেখেছেন জীবনব্যাপী। তাঁকে চিনতে হয় তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে এবং রাজনৈতিক, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির বিচারবোধ থেকে।
জাগরী, চিত্রগুপ্তের ফাইল ও ঢোঁড়াই চরিত মানস হলো তাঁর অন্যতম উপন্যাস। গল্প-উপন্যাস মিলে তাঁর প্রকাশিত লেখার সংখ্যা পনেরোর বেশি নয়। এত কম লেখার কারণ হলো তিনি মাত্র ১৫-১৬ বছর সাহিত্যচর্চা করেছেন। আর একটা কারণ, বেশি লেখার ব্যাপারে তাঁর কোনো উৎসাহ ছিল না, যা লিখেছেন তা নিয়েও কখনো আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগেননি। ঢোঁড়াই চরিত মানসের মতো উপন্যাস লেখার পরও তিনি ‘ঢোঁড়াই’ প্রবন্ধে তাঁর অতৃপ্তির কথা বলেছেন।
১৯৬৫ সালের ৩০ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।