হোম > ছাপা সংস্করণ

আমার বলার কিছু নেই

আমি লিখেছি-পড়েছি, কিন্তু ভাষণ দেওয়া আমার পক্ষে খুবই অস্বস্তিকর। কারণ আমি এতে অভ্যস্ত নই। আমাকে বক্তৃতা দিতে অনুরোধকারীদের সাফ জানিয়ে দিয়েছি, আমার বলার কিছুই নেই। এটাই সত্যি। শুনতে হয়তো খাপছাড়া লাগবে যে, কম-বেশি ৫০ বছর ধরে শব্দ, আবেগ আর বিষয়-আশয় নিয়ে নাড়াচাড়া করা একজন মানুষ বলছে, তার বলার মতো কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। কিন্তু আমার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ যা কিছুই থাক, সবই আছে আমার বইয়ে। যেকোনো একটি মুহূর্তকে গোনায় ধরলেও আমার ভেতরে বাড়তি যা কিছুই থাক না কেন, তাকে সুসংবদ্ধ বলা যাবে না। যেকোনো সময়েই এটা সত্যি।

এটি পরবর্তী বইয়ের অপেক্ষায় আছে—এ বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল থাকি। পরবর্তী বই লেখার সময়ই তা হাজির হবে চমক নিয়ে। এই চমকের বিষয় হবে সেটি, যা আমি হাতড়ে ফিরছিলাম লিখতে বসে। ঠিক কী করছি, তা বিচারের একটি উপায়ও বলা যেতে পারে একে, যদিও মূল্যায়নের পদ্ধতি হিসেবে তা খুব একটা সহজ নয়। 
একজন লেখকের লেখক সত্তা ও সামাজিক সত্তার মধ্যে সুস্পষ্ট ভেদরেখা টেনেছেন [মার্সেল] প্রুস্ত। তাঁর প্রথম জীবনের কিছু লেখা নিয়ে গ্রন্থিত ‘স্যাঁৎ-ব্যোভের বিরুদ্ধে’ (Against Sainte-Beuve) নামক বইটির কিছু প্রবন্ধ থেকে এর প্রমাণ পাবেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর ফরাসি সমালোচক স্যাঁৎ-ব্যোভে বিশ্বাস করতেন, একজন লেখককে বুঝতে হলে তাঁর বহিরঙ্গের মানুষটিকে যত দূর সম্ভব জানা দরকার, তাঁর জীবনের খুঁটিনাটিসমেত। কারও ব্যক্তিসত্তায় জারিত করেই তাঁর কাজকে ফুটিয়ে তোলার পদ্ধতি বেশ মজাদার। কিছুটা নিরুপদ্রবও বটে।

কিন্তু এই ধারণাকে ছুড়ে ফেলার সামর্থ্য ও দৃঢ়তা প্রুস্তের ছিল। তাঁর কথায়, স্যাঁৎ-ব্যোভের এই পদ্ধতি আমাদের আত্মজিজ্ঞাসার সেই অতি সূক্ষ্মমার্গ, যা বুঝতে শেখায় যে, আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাস, সামাজিক জীবনযাপন ও দোষত্রুটিতে মাখামাখি যে সত্তা, একটি গ্রন্থ তার থেকে ভিন্ন কোনো সত্তার সৃষ্টি।  

ত্রিনিদাদে জন্মগ্রহণকারী ভি এস নাইপল ২০০১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ