সখীপুরের কাঁকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের তালিকায় অনুপ্রবেশকারী ও বিদ্রোহীদের নাম সুপারিশ করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলা তৈলধারা বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কাঁকড়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল খালেক লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩ অক্টোবর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা করে পাঁচজনের একটি তালিকা উপজেলায় পাঠায়। গত মঙ্গলবার উপজেলা থেকে জেলায় ও বৃহস্পতিবার জেলা থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়। কিন্তু কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় দলে অনুপ্রবেশকারী ও বিদ্রোহীদের নাম রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
গত ৩ অক্টোবর কাঁকড়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ পাল্টাপাল্টি সভা করে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দুটি তালিকা তৈরি করে। এতে দুই পক্ষ পাঁচজন করে মোট ১০ জনের তালিকা উপজেলায় পাঠায়।
কাঁকড়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল খালেকের নেতৃত্বে সভায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুল মালেক ওরফে শুকুর মেলিটারি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি নাজমুল হুদা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি তুলা তালুকদারের ছেলে মাসুদ তালুকদারের নাম প্রস্তাব করা হয়।
অন্যদিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বিএসসির নেতৃত্বে সভায় আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফরিদুজ্জামান ফরিদ, আনোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফী ও ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, ‘যথাযথ নিয়ম মেনে এবং উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের মতামতের ভিত্তিতেই যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।’