ডালে ডালে মুকুলের সমারোহ। যেমন তার সৌন্দর্য, তেমনি ঘ্রাণ। ম-ম ঘ্রাণে মাতোয়ারা মৌমাছির দল। গুনগুন সুরে মুকুলে বসে চলছে ছন্দের নাচন। ছোট পাখিরাও বসছে মুকুলে। এমন দৃশ্য মাদারীপুরের ডাসার শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজের একটি আমগাছে।
মাদারীপুরের শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জে সব আমগাছে এসেছে মুকুল। শীত শেষ, বিদায় নিয়েছে কুয়াশা। রোদও বেশ চড়েছে। তবে এবার মুকুল এসেছে একটু দেরিতে।
কৃষি অফিস বলছে, এবার আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাড়তি ফলন পাবেন চাষি। বাগানমালিক ও ব্যবসায়ীরা ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন।
প্রকৃতিতে শীতের প্রকোপ এবার কিছুটা কম ছিল, ফলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছ। থোকায় থোকায় মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ছে গাছের ডাল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে ঘ্রাণ।
আমের জন্য উত্তরাঞ্চল প্রসিদ্ধ হলেও এখন মাদারীপুরেও আম্রপালি, ন্যাংড়া, হাঁড়িভাঙা, বারি-৪, বারি-৫, বারি-২, ফজলি ও আশ্বিনাসহ নানা জাতের আমের চাষ হচ্ছে।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আশপাশ, সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি অ্যান্ড উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ডিকে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমি অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস ও এর পাশজুড়ে দেখা যায় নানা জাতের আমগাছ।
আমচাষি আশরাফুল জানান, কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে ফুটছে। আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে। আমের ফলন নির্ভর করে প্রকৃতির ওপর। অনুকূল আবহাওয়া আর আমের মুকুল ঝরে পড়া রোধ করাটা খুবই জরুরি। আমের গুটি ধরে রাখা গেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
কালকিনি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন, এ বছর তা বিরাজ করছে। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুকুল আসার আদর্শ সময়। এ সময়ে মুকুলের প্রধান শত্রু হচ্ছে কুয়াশা। এখন পর্যন্ত কুয়াশা নেই এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় মুকুল ভালোভাবে ফুটছে। সঠিক পরিচর্যা করলে এবং অনুকূল আবহাওয়া থাকলে আমের ভালো ফলন হবে।