গাজীপুরের টঙ্গী রেলস্টেশনের জমি দখল করে দোকান তুলে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবলীগের নেতা ফয়েজ আহমেদ রাজুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
টঙ্গী রেল কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় এক কাঠা পরিমাণের ওই জমির মূল্য কোটি টাকা। এ ছাড়া টঙ্গীর মধুমিতা রেলক্রসিং এলাকা থেকে টঙ্গী জংশন পর্যন্ত রেললাইনের দুপাশে প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, টঙ্গী পূর্ব থানা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী পরিচয়দানকারী ফয়েজ আহমেদ রাজু রেলওয়ে থেকে জমি ইজারা না নিয়েই দোকান নির্মাণ করেছেন।
এজাহারে জানা যায়, ওই নেতা ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলীর (পূর্ত ও পথ) কার্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর ভেঙে আধা পাকা কয়েকটি টিনশেড দোকান নির্মাণ করেছেন। নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিতে গেলে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (কার্য) আব্দুর রউফকে প্রাণনাশের হুমকি দেন রাজু। পরে গত ১৭ এপ্রিল রাজুর বিরুদ্ধে রেলওয়ে থানায় মামলা হয়।
অভিযুক্ত যুবলীগের নেতা ফয়েজ আহমেদ রাজু বলেন, ‘আমি মাদকের ব্যবসা করি না। দোকান তুলে ব্যবসা করি। প্রাচীর ভাঙায় আমার নামে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছিল। আমি বিষয়টি সমাধান করেছি। আপনারা চা খাইতে পার্টি অফিসে আসেন।’
ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (কার্য) আব্দুর রউফ বলেন, ‘রেলের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণকাজে বাধা দিলে যুবলীগের নেতা আমাকে নানাভাবে হুমকি দেন। পরে মামলা করি। এখন প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে ফয়েজ। বাধ্য হয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নূর মোহাম্মদ বলেন, যুবলীগের নেতা ফয়েজ আহমেদ রাজুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তে সীমানাপ্রাচীর ভেঙে জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভূসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টঙ্গীর ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলীর (পূর্ত ও পথ) কার্যালয়ের পাশে রেলওয়ের জমি ইজারা দেওয়া হয়নি। রেলওয়ের জমি দখলমুক্ত করতে প্রতিনিয়তই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের লোকবলসংকট রয়েছে। রেলওয়ের জমি কেউ অবৈধভাবে দখল করে থাকলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’