নরসিংদীর মনোহরদীতে বিধি উপেক্ষা করেই বীরগাঁও সুরুজ আলী মুনশির মাজারে চার দিনব্যাপী মেলা শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সারা দেশে গণজমায়েত নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু গত রোববার থেকে সুরুজ আলী মুনশির মাজারে এই মেলার শুরু হয়। এর আগে গত বুধবার রাতে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম কাসেম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন উপস্থিত হয়ে ডোমনমারা হজরত সৈয়দ দোস্ত মাহমুদ বাগদাদী রহ. মাজারের মেলা বন্ধ করে দেন। এদিকে মেলা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি বলছেন, এই মেলা শত বছরের ঐতিহ্য। এই বছর দোকানদারেরা স্বেচ্ছায় এখানে এসে দোকান বসিয়েছেন। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে ওই মাজারে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করেই জড়ো হয়েছেন হাজারো ভক্ত। মাজার প্রাঙ্গণে চলছে ওরস, মিলাদ ও মেলার আয়োজন। মেলায় মাজারের আশপাশে প্রায় দুই শতাধিক দোকান বসেছে। মেলায় আসা দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার দিনের জন্য প্রতি হাত জায়গা ২০০ টাকায় ভাড়া নিয়েছেন তাঁরা। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করেই হাজারো লোকজন উপস্থিত হন মেলায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। মেলায় দিনের বেলা লোকসমাগম কম দেখা গেলেও রাতের বেলায় দর্শনার্থীদের ঢল নামে। মানুষের মধ্যে দেখা যায়নি কোনো সচেতনতা। শারীরিক দূরত্ব থেকে শুরু করে মাস্ক পরা কোনো কিছুর বালাই নেই এদের মধ্যে। মেলা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মেলা শত বছরের ঐতিহ্য। এই বছর দোকানদারেরা স্বেচ্ছায় এখানে এসে দোকান বসিয়েছেন।’
কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দ বলেন, ‘বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মেলার আয়োজন বন্ধ করার জন্য ইউএনওকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারপরও কীভাবে এত বড় মেলা বসছে সেটা আমার জানা নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম কাসেম বলেন, ‘প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি।’